কলকাতা: অবসরের পর কোচিং করাচ্ছেন। সদ্যসমাপ্ত ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তাঁর প্রশিক্ষণেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দল ত্রিনিবাগো নাইট রাইডার্স। সেই সাফল্যের রেশ নিয়েই ব্রেন্ডন ম্যাকালাম পৌঁছে গিয়েছেন মরুদেশে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তাঁর কোচিংয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করতে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।


এবিপি আনন্দের প্রশ্নের উত্তরে কী বললেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম, দেখুন





ম্যাকালাম বিখ্যাত ছিলেন তাঁর মারমুখী ব্যাটিংয়ের জন্য। বিশ্বের যে কোনও বোলারকে গ্যালারিতে উড়িয়ে দিতেন অবলীলায়। আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন ২০০৮ সালে। প্রথম আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে তাঁর সেই ঝোড়ো ১৫৮ রানের ইনিংস আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের নতুন সংজ্ঞা দিয়েছিল। সেই ইনিংসের কথা ভাবলে কি এখনও গর্ব হয়? আজীবন আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে এসেছেন। কেকেআর ক্রিকেটারদেরও কি আগ্রাসনের মন্ত্রেই দীক্ষিত করবেন? শনিবার এবিপি আনন্দের প্রশ্ন শুনে হাসলেন ম্যাকালাম। আবু ধাবি থেকে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা বললেন, ‘কোচ হওয়ার পর প্রথমেই শুনেছিলাম, আপনি কি ব্যাট হাতে ক্রিজে গিয়ে ছক্কা মারবেন! তবে সেরকম কোনও ব্যাপার নয়। আমার খেলার ধরন আগ্রাসী ছিল। তবে কোচ হিসাবে আমাকে বুঝতে হচ্ছে প্রত্যেক ক্রিকেটারের শক্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা কোনটা। সকলের সেরাটা বার করে আনতে হয়। চূড়ান্ত একাদশ কী হবে, কার কী ভূমিকা থাকবে, অনেক কিছুই ভাবতে হয়।’



নিজে আগ্রাসী ক্রিকেটার ছিলেন। তবে কোচ হিসাবে ভারসাম্য রাখতে চান। ম্যাকালাম বললেন, ‘দলে ধ্রুপদী ঘরানার ক্রিকেটারের সঙ্গে আগ্রাসী খেলোয়াড়দের একটা ভারসাম্য রাখতে হচ্ছে। যাতে প্রতিপক্ষ দলকে বিপাকে ফেলা যায়। তাতে ক্রিকেটারেরাও একে অপরকে নিয়ে প্রত্যয়ী থাকে। আমি মাঠের বাইরেও ছেলেদের আত্মবিশ্বাসী দেখতে চাই। যাতে তারা মাঠে নেমে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারে। গোটা দলের সঙ্গে একাত্ম হতে চাই। আমার দলে অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের চমৎকার মিশেল রয়েছে।’



আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪,৬৭৬ রানের মালিক ম্যাকালাম উচ্ছ্বসিত শুবমান গিলকে নিয়ে। বলছেন, ‘শুবমানের মতো প্রতিশ্রুতিমান তরুণ রয়েছে। বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠার দক্ষতা রয়েছে ওর। কোচ হিসাবে আমি এখনও শিখছি। তবে ক্রিকেটারদের বলে দিচ্ছি না যে, এইভাবে খেলতে হবে বা ওইভাবে। আমি নমনীয় থাকতে চাই।’ কেকেআর কোচ আরও বলছেন, ‘অইন মর্গ্যান নিলামে আমাদের দারুণ প্রাপ্তি। দীনেশ কার্তিককে নেতৃত্ব দেওয়ার কাজে সাহায্য করতে পারবে। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মর্গ্যান। আন্দ্রে রাসেলের ছক্কা মারার ক্ষমতা অবিশ্বাস্য। গত আইপিএলে ৫৬টা ছক্কা মেরেছিল মনে হয়। আমাদের মিডল অর্ডার শক্তিশালী। আমরা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারি। আর প্রয়োজনে আন্দ্রেকে ব্যাটিং অর্ডারের ওপরের দিকে পাঠাতেই পারি।’