মুম্বই: করোনা আবহে দেশের প্রথম টুর্নামেন্ট। আর নির্বিঘ্নে সেই টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারার সাফল্য। স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারপার্সন তথা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্যা নীতা অম্বানি। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) ফাইনাল শেষ হতেই উচ্ছ্বাসে ভাসলেন তিনি।
শনিবার আইএসএল ফাইনালে এটিকে মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বই সিটি এফসি। এতদিন আইএসএল ফাইনালে অপরাজিত ছিলেন অ্যান্টনিও লোপেজ় হাবাস। কিন্তু শনিবার তাঁকে পরাজয় স্বীকার করতে হল। এবারের আইএসএল-এ লিগ পর্যায়ের দু’টি ম্যাচেই এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে দিয়েছিল মুম্বই। ফলে আত্মবিশ্বাস নিয়েই ফাইনালে খেলতে নেমেছিল সের্জিও লোবেরার দল। তৃতীয় সাক্ষাৎকারেও জয় পেল মুম্বই।
শনিবার ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে একটি ভিডিও বার্তায় নীতা অম্বানি বলেন, ‘সপ্তম আইএসএল ফুটবলের গৌরব ও খেলাটার প্রকৃত শক্তির জয় হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। অতিমারি, অসংখ্য প্রতিকূলতা, আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও এবারের আইএসএল অনাবিল আনন্দ দিয়েছে। আমাদের জীবনে উৎসব ফিরিয়ে এনেছে। আমি গর্বিত যে এবারের আইএসএলই অতিমারি পরিস্থিতিতে ভারতের মাটিতে হওয়া প্রথম, দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে সফল একটি টুর্নামেন্ট।’
আইএসএসলের জন্য জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা যে কঠিন কাজ ছিল, জানিয়েছেন নীতা। বলেছেন, ‘ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফ, ক্লাব কর্তা, লিগের আয়োজক, সম্প্রচারকারী সংস্থার কর্মীদের মিলিয়ে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ১৬০০ লোককে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখা হয়েছে। এবং প্রায় ৭০ হাজার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।’
২০ নভেম্বর শুরু হয়েছিল সপ্তম আইএসএল। ১১টি ক্লাবের ১১৫টি ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিল এবারের আইএসএলে। গোয়ার তিনটি স্টেডিয়ামে রুদ্ধদ্বার পরিস্থিতিতে ম্যাচ করা হয়েছিল। দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম থাকলেও ফুটবলপ্রেমীরা যে ডিজিটাল মঞ্চে সমর্থন করে গিয়েছেন, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন নীতা। তিনি বলেছেন, ‘গোয়ার সকলকে ধন্যবাদ। ফুটবলের প্রতি অসামান্য ভালবাসা দেখিয়েছেন। খেলার মাধ্যমে যে সকলকে এক সূত্রে বাঁধা সম্ভব, তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল।’