কলকাতা: শনিবার আইএসএলের (ISL) ডার্বি। ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগান, দুই ক্লাবের সমর্থকেরাই উত্তেজনায় ফুটছেন। এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferrando) কিন্তু একে আর পাঁচটি ম্যাচের মতোই নিচ্ছেন। ইস্টবেঙ্গল এফসি-কেও অন্য প্রতিপক্ষদের মতোই গুরুত্ব দিতে চান তিনি। তার বেশি কিছু নয়। প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজের দল নিয়েই বেশি ভাবতে চান তিনি। তবে নিজেদের মাঠে, নিজেদের সমর্থকদের সামনে জেতা যে অবশ্যই বিশেষ ব্যাপার, তা স্বীকার করতে ভোলেননি ফেরান্দো। 


সাংবাদিক সম্মেলনে সবুজ-মেরুন কোচকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এ বার ইস্টবেঙ্গল এফসিকে গতবারের তুলনায় শক্তিশালী মনে হচ্ছে। এই ব্যাপারে আপনার কী মত? ফেরান্দো বলেন, 'আমি আমার দল নিয়েই বেশি ভাবি। কারণ, প্রতিপক্ষ কেমন, তা তো আর আমার হাতে নয়। প্রতিপক্ষ ভাল দল। ওদের ভাল ভাল খেলোয়াড় আছে। কিন্তু আমি নিজের দলের উন্নতি নিয়ে বেশি ভাবি। সামনে অনেক ম্যাচ আছে। এটাই এখন আমাদের লক্ষ্য। ছোটখাটো ব্যাপারগুলোতে আরও উন্নতি করতে হবে আমাদের। তবে প্রতিপক্ষদের নিয়ে বেশি চিন্তা করছি না।'


তিনি যোগ করেন, 'প্রথম দুই ম্যাচে আনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছি। কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ওর চেয়ে অনেক ভাল পারফরম্যান্স করি আমরা। তবে একজন কোচের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, দলের খেলোয়াড়রা কতটা জায়গা ও সুযোগ তৈরি করতে পারছে এবং প্রতিপক্ষের গোলকিপারের সামনে কতটা তৎপর থাকতে পারছে। সে দিক থেকে গত ম্যাচে আমরা অনেক ভাল খেলেছি। এই পরিস্থিতিটা আমাদের পক্ষে অনেক ভাল। তবে আগেই বলেছি, অতীত নয়, ভবিষ্যৎ আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'


দলের বিদেশিরা বিশেষ করে ফ্লোরেন্তিন পোগবা ও ব্রেন্ডান হ্যামিল কি আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন? ফেরান্দোর জবাব, 'বিদেশি খেলোয়াড়দের প্রধান লক্ষ্য থাকে দলকে সাহায্য করা। বিভিন্ন ক্লাবের বিদেশিদের একই উদ্দেশ্য থাকে। স্থানীয় ফুটবলারদের সাহায্য করে থাকে ওরা। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল ওরা যেন একই ভাবে খেলে যায়। আমি খুশি যে, আমাদের বিদেশিরা দলকে সাহায্য করে চলেছে। ছ’জন বিদেশিই অনুশীলনে তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা ক্লাবের ও দলের পক্ষে খুবই ভাল।'


গত কয়েকটি ম্যাচে রক্ষণের সমস্যা প্রকট ভাবে দেখা দিয়েছে। ডার্বিতে কি সেই সমস্যা দূর হবে বলে মনে করেন? ফেরান্দো বলছেন, 'রক্ষণ নিয়ে অবশ্যই আমরা ভাবনা-চিন্তা করছি। গত ম্যাচেও আমাদের সমস্যা ছিল। তবে আক্রমণ ভাল হওয়ায় তা সামলে গিয়েছে। তবে শুধু আক্রমণ বা রক্ষণে আলাদা করে নজর দেওয়াটা ঠিক নয়। ফুটবলে অনেক সময় আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, না হলে প্রচুর ভুল হয়। সেগুলোই শোধরাতে হবে।'


আরও পড়ুন: ভাঙল যুবরাজের রেকর্ড, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নতুন কীর্তি রোহিতের