ফতোরদা: দলের কয়েকজন ফুটবলার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় একাধিক ম্যাচ বাতিল হয়েছিল। তারপর রবিবারই প্রথম খেলতে নামল এটিকে মোহনবাগান। বেশ কিছুদিন পর মাঠে নেমে চেনা ছন্দে দেখা গেল না রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামসদের। ওড়িশা এফসি-র সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল সবুজ-মেরুন। ফলে ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে সাত নম্বরেই থেকে গেল এটিকে মোহনবাগান। ১২ ম্যাচে ওড়িশার পয়েন্ট ১৭। 


এদিন আক্রমণের চার ভরসা রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামস, লিস্টন কোলাসো ও মনবীর সিংহকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। কিন্তু তা সত্ত্বেও খুলল না ওড়িশার গোলমুখ। গোলের সুযোগ এসেছিল, কিন্তু জালে বল জড়ানো সম্ভব হয়নি। ফেল ভাল খেলেও, এক পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকলে হল সবুজ-মেরুন শিবিরক।


এই ম্যাচে প্রথমার্ধে এটিকে মোহনবাগানেরই দাপট ছিল। ওড়িশার রক্ষণে বারবার হানা দিতে থাকেন ডেভিড উইলিয়ামস, মনবীররা। কিন্তু ওড়িশার রক্ষণ জমাট ছিল। গোলকিপার আর্শদীপ সিংহও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান। সেই সময় খেলা দেখে মনে হচ্ছিল না ১৭ দিন পর মাঠে নেমেছেন লিস্টন কোলাসো, রয় কৃষ্ণরা। কিন্তু একের পর আক্রমণেও গোল করতে পারলেন না তাঁরা। সবুজ-মেরুন স্ট্রাইকারদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না, কিন্তু ওড়িশার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের এবং গোলকিপারের যেন শপথ করাই ছিল, এই ম্যাচে কিছুতেই গোল খাবেন না। প্রথমার্ধেই আর্শদীপ অন্তত তিনটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন। স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ভিক্টর মঙ্গিলও দারুণ পারফরম্যান্স দেখান।


দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য খেলার ধারা কিছুটা বদলায়। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে আক্রমণ শুরু করে ওড়িশা। মালয়েশিয়ার মিডফিল্ডার লিরিডন ক্রাজনিকি ভাল খেলা শুরু করেন। তাঁর পাশে ভাল খেলতে শুরু করেন জেভিয়ার হার্নান্ডেজ, জেরি, আইজ্যাক ছাকছুয়াক। কিন্তু তাঁদের পক্ষেও গোল করা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে এটিকে মোহনবাগানের সামনেও একাধিক সুযোগ এসেছিল। ৮৯ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন প্রবীর দাস। কিন্তু তিনি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন।