কলকাতা: পনেরো বছরের পেশাদার ফুটবল জীবন। কিন্তু এতদিন কখনও চোটের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হয়নি তাঁকে।


তিনি, দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitri Petratos)। এক মাসেরও বেশি সময় সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে মাঠে নামতে পারেননি। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট ছিল। তবে চোট সারিয়ে নিজেকে ক্রমশ সুস্থ করে তুলছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan Super Giant) তারকা ফরওয়ার্ড পেত্রাতোস।


গত মরশুমে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে নিয়ে এবারও সমর্থকদের অনেক আশা। ১ নভেম্বরের পর মোহনবাগান যে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে, তার মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছে। একটি ড্র। তিনটি ম্যাচে হার। এএফসি কাপে হারের হ্যাটট্রিক করেছে মোহনবাগান। আইএসএলে টানা পাঁচটি ম্যাচে জয়ের পর গত ম্যাচে ঘরের মাঠে ড্র-ও করে তারা। এর কোনওটিতেই ছিলেন না পেত্রাতোস।  


বুধবার সাংবাদিকদের পেত্রাতোস বলেন, “আমি অনুশীলনে মনোনিবেশ করছি। এখনও দুদিনের অনুশীলন বাকি আছে। পরের ম্যাচে খেলতে পারব কি না, সেই সিদ্ধান্ত তো আমি নেব না। তবে পরের ম্যাচের জন্য তৈরি হয়ে ওঠাই এই মুহূর্তে আমার লক্ষ্য।” অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার আরও বলেন, “এই অভিজ্ঞতা প্রথম হল আমার। ১৫ বছরের ফুটবল জীবনে এর আগে কখনও হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় ভুগিনি। শিখলাম, কী ভাবে এই ধরনের চোট সামলে অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে ক্রমশ সুস্থ করে তোলা যায়। নিজেকে ফের বিশ্লেষণ করে নিজের আসল জায়গায় ফিরিয়ে আনার সুযোগও পেয়েছি। আশা করি, এই অভিজ্ঞতা আমাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। পরবর্তী ম্যাচে সেরাটা দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। শুরু থেকে খেলি বা পরিবর্ত হিসেবে নেমে পাঁচ মিনিট খেলি। দলকে ভাল ফল এনে দেওয়ার চেষ্টাই করব।”    


চলতি আইএসএলের প্রথম ম্যাচেই জ্বলে ওঠেন পেত্রাতোস। পাঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে ৩-১ জয়ে একটি গোল করেন ও একটি করান। মরশুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে একমাত্র ও জয়সূচক গোল করে দলকে খেতাব জেতান তিনি। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের শুরুতেই ওডিশার বিরুদ্ধে ৪-০-র জয়ে একাই জোড়া গোল করেন পেত্রাতোস। বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ২-২ ড্রয়ে একটি গোল করেন। কিন্তু পরের তিনটি ম্যাচে খেলতেই পারেননি।


গত আইএসএল মরশুমে এক ডজন গোল করা এই ৩১ বছর বয়সী ফরওয়ার্ড যদিও বলছেন, তাঁর একার পারফরম্যান্স দলের সাফল্যের পক্ষে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। বলছেন, “আমি সব সময়ই নিজেকে উন্নত করে তোলার চেষ্টা করি। প্রতি দিনই যাতে উন্নত পারফরম্যান্স দেখাতে পারি, সেই চেষ্টা করি। এই মরশুমে দল (আইএসএলে) সবে ছ’টা ম্যাচ খেলেছে এবং আমি তার মধ্যে চারটে খেলেছি। আমার নিজের পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যান এখানে বেশি জরুরি নয়। এটা দলগত খেলা এবং আমাদের দলের লক্ষ্য একটাই, জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। আমি গোল করি বা অন্য কেউ করুক, সেটা বড় কথা নয়। মরশুমের শেষে দলের সবার হাতে ট্রফি উঠল কি না, সেটাই বড় কথা। এটা ঠিকই যে, প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত লক্ষ্য থাকে। আপাতত আমার লক্ষ্য নিজেকে সুস্থ করে তোলা ও খেলার উপযুক্ত করে তোলা।”    


আরও পড়ুন: ধোনির বুড়ো হাড়ে ভেল্কি, কোহলির কীর্তি, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ২২ গজের ২০২৩


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে