কলকাতা: বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম তিনি। যদিও এখন বাংলার কোনও ক্লাবের হয়ে খেলেন না। গত দুই মরশুমে তিনি ভিনরাজ্যের ক্লাবের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন। এ বারও তাই। কিন্তু এ বাংলায় তাঁর জনপ্রিয়তা কমেনি। প্রবীর দাসকে (Prabir Das) বঙ্গ ফুটবল মহল এখনও এক ডাকে চেনেন। এবার প্রবীর নিজের পছন্দের সেরা আইএসএল (ISL Football) একাদশ বেছে নিলেন।


এই দলের গোলে তিনি রেখেছেন দেবজিৎ মজুমদারকে। যিনি বর্তমানে চেন্নাইন এফসি-র হয়ে খেলেন এবং আইএসএলে ৫০-এর ওপর ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৬-য় চ্যাম্পিয়ন এটিকে দলে দু’জনেই ছিলেন। এটিকে মোহনবাগানের হয়েও একসঙ্গে খেলেছেন তাঁরা।

তাঁর প্রিয় একাদশের চার ডিফেন্ডার হলেন তিনি নিজে, সন্দেশ ঝিঙ্গন, তিরি ও নারায়ণ দাস। রাইট ফুল ব্যাকের জায়গায় প্রবীর নিজেকে রাখছেন। এ ছাড়াও ভারতীয় দলের নিয়মিত ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গন ও স্প্যানিশ ডিফেন্ডার তিরিকে রেখেছেন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের জায়গায়। বর্তমানে মুম্বই সিটি এফসি-র হয়ে খেলার আগে তিরি এটিকে এফসি, জামশেদপুর এফসি ও এটিকে মোহনবাগানের হয়ে খেলেছেন। কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে খেলে বিখ্যাত হয়ে ওঠার পর সন্দেশ প্রবীরের সঙ্গে সবুজ-মেরুন বাহিনী ও বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে খেলেন।

মাঝমাঠে প্রবীর রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সমিঘ দৌতিকে, যিনি এটিকে ও জামশেদপুর এফসি-র হয়ে খেলেছেন আইএসএলে। এটিকে-তে তিনি প্রবীরের সঙ্গে খেলেছিলেন এবং ২০১৬-র চ্যাম্পিয়ন দলেও ছিলেন। এ ছাড়াও প্রবীরের প্রিয় একাদশের মাঝমাঠে রয়েছেন বাংলার খেলোয়াড় প্রণয় হালদারকে। প্রণয় ২০১৫ থেকে আইএসএলে খেলছেন। ২০১৯-২০-র চ্যাম্পিয়ন এটিকে এফসি দলেও প্রবীরের সতীর্থ ছিলেন তিনি। জামশেদপুর এফসি-র হয়ে লিগশিল্ডও জেতেন তিনি।

প্রবীরের দলের আরও দুই মিডফল্ডার শৌভিক চক্রবর্তী ও লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার প্রণয়ের সঙ্গে তিনিও রয়েছেন। এখন শৌভিক খেলেন ইস্টবেঙ্গল এফসি-র হয়ে। ২০১৫-য় দিল্লি ডায়নামোজ দলে প্রবীরের সতীর্থ ছিলেন তিনি। ছাঙতে এই দলের একমাত্র খেলোয়াড়, যাঁর সঙ্গে প্রবীর কখনও একই দলে খেলেননি। তবে গত মরশুমের গোল্ডেন বল জয়ী তারকাকে প্রবীর তাঁর একাদশে বোধহয় রেখেছেন তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য।

প্রবীর দাসের দলে দুই স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণা ও লেইন হিউম। প্রবীর ও রয়ের জুটি সুপার হিট হয়ে উঠেছিল ২০১৯-২০ মরশুমে। সেবার ফাইনাল খেলেন তাঁরা। কিন্তু ফাইনালে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যান রয়। সেবার তাঁরা এটিকে এফসি-র জার্সি গায়ে সারা মরশুম মাতিয়ে দেন। পরে তারা এটিকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়েও একসঙ্গে খেলেন। কানাডিয়ান স্ট্রাইকার হিউম আইএসএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। প্রথমে এটিকে এফসি ও পরে কেরালা ব্লাস্টার্স-এর হয়ে খেলেন তিনি। ২০১৬-য় প্রবীর ও হিউম একই সঙ্গে খেলেন। তবে পরে তাঁরা পরষ্পরের প্রতিদ্বন্দী হয়ে ওঠেন।

প্রত্যাশিত ভাবেই এই দলের কোচ হিসেবে প্রবীর বেছে নিয়ে নিয়েছেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে। প্রবীর এক সাক্ষাৎকারে বলেওছিলেন, হাবাসই তাঁর ফুটবল জীবনের সেরা কোচ। এটিকে এফসি-কে দু’বার চ্যাম্পিয়ন করেন হাবাস। প্রবীরকে তিনি অ্যাটাকিং ফুল ব্যাক হিসেবে খেলিয়েছিলেন। ২০১৯-২০ মরশুমে হাবাসের প্রশিক্ষণেই সেরা সময় কাটিয়েছিলেন প্রবীর। সে বার পাঁচটি গোলে অ্যাসিস্ট করেছিলেন। যা একই মরশুমে একজন ডিফেন্ডারের সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট।