লিগ পর্বের প্রথম ম্যাচ থেকে শুরু করে আইএসএল ফাইনাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৪ ম্যাচে ২৮টি গোল। গতবার এই সংখ্যাটাই লেখা ছিল এটিকে মোহনবাগানের সংগৃহিত গোলের খাতায়। এ বার নাম পাল্টে তারা যেমন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট হয়েছে, তেমন এই পরিসংখ্যানও কি পাল্টাবে? সংখ্যাটা আরও হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠবে কি?



গতবার সবুজ-মেরুন বাহিনীতে ছিলেন না কোনও বিশেষজ্ঞ স্ট্রাইকার। জানুয়ারির দলবদলেও তাঁর কোনও সহযোগী বা সঙ্গী আনার ব্যবস্থা করেনি ক্লাব। ফলে পুরো মরশুমেই গোল করার দায়িত্বে ছিলেন দুই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দিমিত্রিয়স পেট্রাটস ও হুগো বুমৌস।

দলের ২৮টি গোলে অবদান রাখেন আক্রমণ বিভাগের এই দুই প্রধান স্তম্ভ, পেট্রাটস ও বুমৌস। তাঁরা ১৭টি গোল করেন ও ১১টি করান। মোট ন’টি ম্যাচে কোনও গোলই করতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান।তার আগের দুই মরশুমে কিন্তু এমন গোলের খরা দেখা যায়নি বাগানে।

২০২০-২১ মরশুমে শুধু লিগেই ২০ ম্যাচে ২৮টি গোল করে তারা। নক আউট পর্বে আরও চার। মানে সব মিলিয়ে ৩২টি। ২০২১-২২-এ শুধু লিগেই ২০ ম্যাচে ৩৭ গোল দেয় তারা। নক আউটে আরও দু’টি। মোট ৩৯। সেই তুলনায় গতবার সব মিলিয়ে ২৮ গোল দেওয়াটা নিতান্তই কম বলে মনে হয়েছিল সমর্থকদের। তাই এ বার ‘জেনুইন স্ট্রাইকার’ দলে নেওয়ার জোরালো দাবি ওঠে।

তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতেই এ বার অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেসন কামিংস ও আলবানিয়ার জাতীয় দলে খেলা আরমান্দো সাদিকুকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁরা এ মরশুমে গোলের মালা পরিয়ে ফের মোহনবাগানের অতীতের গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারবেন কি না সে তো মরশুম শুরু হলে বোঝা যাবে। তবে কামিংসরা এসে যাওয়ায় দলের কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত তারকাকে যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
সবার আগে মনে আসছেলিস্টন কোলাসো ও মনবীর সিং-এর কথা। বছর খানেক আগেও ছিলেন মোহনবাগানের আক্রমণে দুই সেরা অস্ত্র। এখন এই ‘জোড়া ফলা’আদৌও ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছেন কি না, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।


বুমৌস, পেট্রাটস, কামিংস, সাদিকুদেরও যেখানে সব ম্যাচে নিয়মিত প্রথম এগারোয় রাখার উপায় নেই মোহনবাগান কোচের কাছে, সেখানে থাপা, আশিক, সহালদের না খেলিয়ে কী ভাবে মনবীর, লিস্টনদের খেলাবেন ফেরান্দো, এটা একটা বড় প্রশ্ন। মনে রাখতে হবে কিয়ান নাসিরি ও ফারদিন আলি মোল্লারাও ক্রমশ তৈরি হয়ে উঠছেন এবং এঁদের যথেষ্ট পছন্দও করেন কোচ। তাই এখন দলে জায়গা পাকা করার জন্য এই তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গেও লড়াই করতে হবে লিস্টন, মনবীরদের। অনুশীলনের প্রতিটি সেশনে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে এই দুই তারকাকে। তা হলেই যদি কোচের আস্থা আদায় করতে পারেন তাঁরা। 


                                                                                                                                                                                            তথ্য় সংগ্রহ: আইএসএল মিডিয়া