কলকাতা: ইন্ডিয়ান সুপার লিগ যেমন এ দেশের সেরা উঠতি ফুটবলার ও তারকাদের মেলবন্ধন ঘটায়, তেমনই সারা বিশ্বের সেরা ফুটবলখেলিয়ে দেশগুলি থেকে আসা অভিজ্ঞ ও দক্ষ ফুটবলারদের সঙ্গে খেলার সুযোগও করে দেয় তাঁদের। দেশীয় ফুটবলারদের দিকে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের নজর তো থাকেই। কিন্তু আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকেন বিদেশি ফুটবলাররা। বলা হয়, যে দলে যত ভাল ভাল বিদেশি ফুটবলার থাকে, সেই দলই সাফল্যের মুখ দেখে তত বেশি।
দিমিত্রি পেত্রাতোস (মোহনবাগান)
বিশেষজ্ঞ ফরোয়ার্ডদের ছেড়ে দিয়ে দিমিত্রিয়স পেত্রাতোসের মতো একজন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকে দলে নিয়ে আসা নিয়ে গত মরশুমের আগে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মধ্যে। কারণ, পেট্রাটসের অতীতের পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যান বলে, তিনি নিজে যত না গোল করেছেন, তার চেয়ে বেশি গোলের সুযোগ তৈরিতে সাহায্য করেছেন বা অ্যাসিস্ট করেছেন। স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দোর চিন্তা ভাবনা সবসময়ই অন্যরকম। তিনি মনে করেন, কোনও একজন ফুটবলারের ওপর গোলের জন্য অতিরিক্ত নির্ভর না করে পুরো আক্রমণ বিভাগের ওপর গোল করার দায়িত্ব দেওয়াটাই ভাল।
জেসন কামিংস (মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট)
মোহনবাগান এসজি তিন বছরের চুক্তি করেছে অস্ট্রেলিয়ার এই গোলমেশিনের সঙ্গে। প্রতিপক্ষের গোল এলাকায় তাঁর ঢুকে পড়া মানে একটা কিছু বিপদ হওয়া, এমনই আশঙ্কা করেন অনেকে। কারণ, তাঁকে আটকানো বেশ কঠিন। তাঁকে আটকাতে গিয়ে একাধিকবার মোহনবাগানকে পেনাল্টিও দিয়ে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। এ-লিগে সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে খেলে ২০২২-২৩ মরশুমে ২৯টি ম্যাচে ২১টি গোল করেন ও ছ’টি গোলে অ্যাসিস্ট করেন তিনি। লিগের চারটি ম্যাচে জোড়া গোল করেন কামিংস এবং ফাইনালে মেলবোর্ন সিটি-র বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে দলকে ৬-১-এ জিতে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্যও করেন।
হাভিয়ে সিভেরিও (ইস্টবেঙ্গল)
মরশুমের শুরুতেই লাল-হলুদ বাহিনীর আক্রমণ বিভাগকে যথেষ্ট শক্তিশালী করে তুলেছেন সিভেরিও। ডুরান্ড কাপে দু’টি গোলও করেছেন ইতিমধ্যেই। গত মরশুম পর্যন্ত হায়দরাবাদ এফসি-তে খেলার পর এ বছর ইস্টবেঙ্গল এফসি-র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। গত মরশুমে তিনি হায়দরাবাদের হয়ে ন’টি গোল করেন। ২০২১-এ স্পেনের লা পালমা আতলেটিকো থেকে হায়দরাবাদে যোগ দেন সিভেরিও। স্পেনের রেসিং সানতান্দার ও তাদের বি দল, লা পালমার বি দলের হয়েও খেলেছেন ২৫ বছর বয়সী এই সেন্টার ফরোয়ার্ড। আইএসএলে ৪৫টি ম্যাচে ১২টি গোল রয়েছে তাঁর। গতবার ২০টি ম্যাচ খেলে পাঁচটি গোল করেন দেশের সেরা লিগে।
আরমান্দো সাদিকু (মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট)
লা লিগার দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব এফসি কার্তাগেনা থেকে তাঁকে দু’বছরের চুক্তি করে নিয়ে এসেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ২০১৬-র ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রোমানিয়ার বিরুদ্ধে আলবানিয়ার হয়ে ঐতিহাসিক গোল করেছিলেন তিনি। সেন্টার ফরোয়ার্ড আরমান্দো সাদিকু। সেই ঐতিহাসিক গোলেই রোমানিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবলে জয় পায় আলবানিয়া। কলকাতার দলে যোগ দেওয়ার পর এর মধ্যেই গোলের খাতা খুলে ফেলেছেন। এএফসি কাপের প্লে অফে আবাহনী লিমিটেডের বিরুদ্ধে তিনি প্রথম গোলটি করেন।
বোরহা হেরেরা (ইস্টবেঙ্গল এফসি)