গোয়া: আজ গোয়ার বিরুদ্ধে আইএসএলে খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান। নতুন কোচ হুয়ান ফেরান্দোর অধীনে খেলতে নামবে তারা (Juan Ferrando)। নর্থইস্ট এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে জয়ের রাস্তায় ফিরে এসেছে দল। চার ম্যাচে জয়হীন থাকার পরে এটিকে মোহন বাগান (atk mohun bagan) জয়ের রাস্তায় ফিরে আসে ৩-২-এ জিতে। সবুজ-মেরুন শিবিরের এক গোল মেশিন রয় কৃষ্ণ আপাতত চেনা মেজাজে না থাকলেও অন্য গোল মেশিন হুগো বুমৌস ফর্মে ফিরে আসেন ওই ম্যাচেই এবং জোড়া গোল করেন। আর লিস্টন কোলাসো গোল করে চলেছেন। এটা আরও ভাল খবর।


কী কী বদলাতে পারেন ফেরান্দো?


দুই উইং দিয়ে আক্রমণ রোখা ও গোল তৈরির কাজে লিস্টন কোলাসো ও মনবীর সিংকে এতদিন ব্যবহার করা হলেও তাঁরা যেহেতু ফরোয়ার্ড, তাই উইং-ব্যাক হিসেবে তাঁরা তেমন সফল হতে পারেননি। সেই কাজটা করতে হয়েছে শুভাশিস বোস ও প্রীতম কোটালদের। গত ম্যাচে হুগো বুমৌসকে ডানদিক দিয়ে প্রায়ই আক্রমণে উঠতে দেখা যায় এবং তাতে সাফল্যও পান তিনি। কিন্তু প্রবীর দাস, মাইকেল সুসাইরাজদের মতো বিশেষজ্ঞ উইং-ব্যাকদের প্রতি ম্যাচে ডাগ আউটে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। প্রবীর এ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে ১১৭ মিনিট ও সুসাইরাজ দুই ম্যাচে ১৯ মিনিট খেলেন। তাঁদের প্রথম দলে রেখে পরখ করে দেখতে পারেন ফেরান্দো। সেক্ষেত্রে শুভাশিস ও আশুতোষকে হয়তো বসতে হতে পারে। শুভাশিস ফর্মে থাকলেও আশুতোষ তেমন ভাল ফর্মে নেই।


ফিজিয়ান ফরোয়ার্ড রয় কৃষ্ণ এ বার প্রচুর গোলের সুযোগ নষ্ট করছেন। হিরো আইএসএলের প্রথম দুই মরসুমে যেখানে তাঁর গোল কনভারশন রেট ছিল যথাক্রমে ২৮ ও ২২ শতাংশ, সেখানে চলতি মরসুমে তাঁর গোল কনভারশন রেট ১৭ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ান তারকা ডেভিড উইলিয়ামসের গোল কনভারশন রেট ৩৩ শতাংশ। কিন্তু সাতটি ম্যাচে ১২৫ মিনিট খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ফিনল্যান্ডের ইউরো দলের সদস্য জনি কাউকো এবং গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি থেকে নিয়ে আসা ফরাসি তারকা হুগো বুমৌসও ক্রমশ বিপক্ষের কড়া মার্কিংয়ে তেমন কার্যকরী হয়ে উঠতে পারছিলেন না। তা সত্ত্বেও সাত ম্যাচে ২১৫ পাস খেলেছেন কাউকো। বুমৌস তো গত ম্যাচে দারুণ ভাবে মার্কিং এড়িয়ে ফর্মে ফিরে আসেন এবং পাসের সংখ্যার ক্ষেত্রেও (২৪৪) তিনি দলের মধ্যে এক নম্বরে। বুমৌসকে তো নয়ই, কাউকোকে ছেঁটে ফেলাও কোচের পক্ষে সোজা হবে না। 


নজরে রাখবেন কাদের?


এটিকে মোহনবাগানের সব ম্যাচেই হুগো বুমৌস ও রয় কৃষ্ণা সমর্থকদের নজরে থাকেন। তবে রয়ের যে রকম গোলের খরা চলছে, তাতে ক্রমশ তিনি জনপ্রিয়তার দৌড়ে পিছনে পড়ে যেতে পারেন। বরং লিস্টন কোলাসোকে সমর্থকেরা বেশ পছন্দ করতে শুরু করেছেন। নীরবে একটার পর একটা গোল করে চলেছেন তিনি। দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা যদি হন বুমৌস (৫), চার গোল করে কোলাসো রয়েছেন দু’নম্বরে। কোচ ফেরান্দোর কাছে যেমন বিপক্ষে এফসি গোয়ার থাকাটা বিশেষ ব্যাপার, তেমনই কোলাসোর কাছেও তাঁর নিজের রাজ্যের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামা বড় ব্যাপার। সাইড ব্যাক শুভাশিস বোসও ভাল ফর্মে রয়েছেন। কখনও নিজেদের গোল সামলে, কখনও বিপক্ষের বক্সে হানা দিয়ে নিজেকে ক্রমশ কার্যকরী খেলোয়াড় করে তুলছেন এই বঙ্গসন্তান।


আরও পড়ুন: আই লিগে করোনার থাবা, কোভিড পজিটিভ একাধিক ফুটবলার