ফতোরদা: গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারা এবং নিজেদের রক্ষণভাগ মজবুত রাখতে না পারাই চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (Indian Super League) এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) সবচেয়ে বড় সমস্যা। ১৮টি ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পরেও এই সমস্যা মিটল না। তার ফলে মুম্বই সিটি এফসি-র (Mumbai City FC) কাছে ০-১ গোলে হার মানতে হল মারিও রিভেরার (Mario Rivera) দলকে। ৫১ মিনিটে মুম্বইয়ের হয়ে জয়সূচক গোল করেন গতবার আইএসএল ফাইনালে শেষমুহূর্তে গোল করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করা বিপীন সিংহ (Bipin Singh)। এই গোল শোধ করার একাধিক সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন হাওকিপ, ফ্রান সোতারা। কিন্তু তাঁরা গোল করতে ব্যর্থ হন। একাধিকবার পেনাল্টির দাবিও করে লাল-হলুদ শিবির। কিন্তু রেফারি সেই দাবিতে সাড়া দেননি। ফলে ফের ম্যাচ হেরেই মাঠ ছাড়তে হল মহম্মদ রফিক, শঙ্কর রায়দের।
আজ খেলা শুরু হওয়ার আগেই ধাক্কা খায় লাল-হলুদ শিবির। প্রথম একাদশে নাম ছিল ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় দলের হয়ে খেলা অ্যান্টনিও পেরোসেভিচের। তিনিই চলতি মরসুমে এসসি ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ফুটবলার। কিন্তু আজ প্রথম একাদশে নাম থাকার পরেও, শেষপর্যন্ত তিনি আর মাঠে নামেননি। সূত্রের খবর, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় খেলতে পারেননি পেরোসেভিচ। তিনি না থাকায় লাল-হলুদ ব্রিগেডের শক্তি অনেকটাই কমে যায়। পেরোসেভিচ মাঠে না থাকাটা দলের পক্ষে কতটা অসুবিধার, সেটা এদিন বারবার বোঝা গেল।
পেরোসেভিচের বদলে প্রথম একাদশে আসেন নাওরেম মহেশ। তিনি খারাপ খেলেননি। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হন। ২৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে সেম্বই হাওকিপকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন মুম্বইয়ের দীর্ঘদেহী ডিফেন্ডার মুর্তাদা ফল। কিন্তু রেফারি পেনাল্টির আবেদনে সাড়া দেননি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গোল হজম করে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ৮০ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ফ্রান সোতা। ৮৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে মুর্তাদা ফলের হাতে বল লাগে। কিন্তু এবারও রেফারি পেনাল্টির আবেদনে সাড়া দেননি। ফলে জয় পায় মুম্বই।