অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: আগামী রবিবারই আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) পুরসভার নির্বাচন (Municipal Elections 2022)। তার আগে ভোটপ্রচারে ব্যস্ত যুযুধান দুই শিবির, তৃণমূল (TMc) ও বিজেপি (BJP)। আলিপুরদুয়ার পুর এলাকায় কোমর বেঁধে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। পাশাপাশি জনসংযোগে খামতি রাখছে না তৃণমূলও।


আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস সরকারের হয়ে পায়ে হেঁটে ওয়ার্ডে ঘুরে প্রচার করেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল ও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আলিপুরদুয়ার শহরের চৌপথি এলাকায় পুরসভার ১১, ১২, ১৪, ১৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে পথসভাও করেছে বিজেপি। সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, 'সত্যিই যদি তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতা থাকত তাহলে এই পুরনির্বাচনগুলো রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে করত। তাহলে বোঝা যেত তৃণমূল কংগ্রেস কত জলে দাঁড়িয়ে আছে।'


আরও পড়ুন: পুরভোটের প্রচারে শিক্ষক সংগঠনকে কাজে লাগানোয় উদ্যোগী তৃণমূল, কটাক্ষ বিজেপির


সম্প্রতি শিলিগুড়ির পুরনির্বাচন হয়েছে। একুশের বিধানসভায় শিলিগুড়ি পুর এলাকায় ভাল ফল করলেও পুরভোটে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। পুরভোটে দাঁড়িয়ে হেরেছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, '৮ বছর পর পুরনির্বাচন হচ্ছে। ব্যাপক রিগিং এবং সন্ত্রাস করে তোলাবাজদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কর্পোরেশন। প্রার্থী না হতে পারায় কান্নাকাটি সেটাই প্রমাণ করে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে ভোটে জেতার জন্য। স্থানীয় প্রশাসনকে রাজনৈতিক ব্যবসায় পরিণত করেছে তৃণমূল।'


আলিপুরদুয়ারে উন্নয়নের জন্য বিজেপি প্রার্থীদের জেতানোর আবেদন করেন শঙ্কর।


বিজেপির অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রচারে নেমেছে শাসক দলও। আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৫ এবং ১৫ নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণমন্ত্রী বুলু চিক বরাইক। তাঁর কটাক্ষ, 'শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের ভোটে শঙ্কর ঘোষের কী ফলাফল হয়েছে নিশ্চয়ই সবাই জানে। ওখানে তৃণমূল খুব ভাল ফল করেছে। ওদের নতুন কিছু বলার নেই তাই এসব বলছে। ২০২১-এও এরকম মিথ্যা প্রচার চালিয়েছিল, কিন্তু মানুষ দু-হাতে আশীর্বাদ করেছেন।'


আলিপুরদুয়ারেও তৃণমূল বোর্ড গঠন করবে বলে দাবি মন্ত্রীর।