পানাজি: লজ্জার হার দিয়েই আইএসএলে নিজেদের অভিযান শেষ করল এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। এই মরসুমে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগেই বেঙ্গালুরু এফসি ও এসসি ইস্টবেঙ্গলের লিগ তালিকায় স্থান নির্ধারিত ছিল। লাল-হলুদ লিগের লাস্টবয় হয়েই শেষ করত আর সুনীল ছেত্রীর দল থাকত ছয় নম্বরে। তবে শেষ ম্যাচে জয়ে দিয়ে মরসুম শেষ করতে বদ্ধপরিকর ছিল দুই দলই। পাশপাশি এসসি ইস্টবেঙ্গলের জন্য সবথেকে কম ম্যাচ জিতে মরসুম শেষ করার লজ্জার থেকে নিস্তার পাওয়ার একটা সুযোগও ছিল।


কিন্তু তা হল না। শেষ হাসি হাসল বেঙ্গালুরুই। আইএসএল ইতিহাসে নিজের ৫১তম গোলে ১-০ ব্যবধানে বেঙ্গালুরুকে ম্যাচ জেতালেন সুনীল ছেত্রী। 


২৪ মিনিটের মাথায় গোল করেন সুনীল। বাকি ম্যাচে সেই গোল শোধ করার চেষ্টা করে গেল লাল-হলুদ। ১৭টা শট নিল গোলের উদ্দেশে, কিন্তু গোল এল না। এ বারের আইএসএল-এ একটি মাত্র ম্যাচ জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। বাকি ১৯টি ম্যাচের মধ্যে ১১টি হার এবং ৮টিতে হার। এ বারের আইএসএল-এর মাঝ পথেই ক্লাব এবং বিনিয়োগকারী সংস্থার সম্পর্ক খারাপ হয়। দুই পক্ষের তরফেই দোষারোপ করা হয়। এখন দেখার লিগ শেষ হওয়ার পর এসসি ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ কী হয়?


হতাশার মরসুম হতাশাতেই শেষ হল ইস্টবেঙ্গলের। লিগের শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ০-১ হেরে টেবিলের লাস্ট বয় হওয়া নিশ্চিত করে ফেলল লাল হলুদ ব্রিগেড। ২০ ম্যাচ খেলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করল মারিও রিভেরার দল। গোটা মরসুমে মাত্র একটা জয়। তিন বার কোচ বদল। বিতর্কের মরসুমের শেষটা অন্তত জয় দিয়ে হোক, সেটাই চেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। তাতে অন্তত নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে শেষের দিক থেকে পয়েন্ট তালিকায় ছোঁয়ার সুযোগ থাকত। 


তবে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে সেই একই ফুটবল। সুনীল ছেত্রী ২৬ মিনিটেই ম্যাচের একমাত্র গোল করে যান। আইএসএলের ইতিহাসে প্ৰথমবারের মতো কোনও নেপালি তারকা খেলতে নেমেছিলেন এদিন। ইস্টবেঙ্গল নামিয়ে দিয়েছিল কয়েকদিন আগে সই করানো অনন্ত তামাংকে। তবে সেই ম্যাচে হারই সঙ্গী হল লাল-হলুদ বাহিনীর।