পোর্ট অফ স্পেন: পাঁচ বছর পর বিদেশের মাটিতে সেঞ্চুরি। এই ম্যাচ শুরুর আগেই সাংবাদিক বৈঠকে এসে ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর জানিয়েছিলেন যে খুব তাড়াতাড়ি টেস্টে সেঞ্চুরি পাবেন কোহলি। আর গতকাল নিজের ৫০০ তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে শতরান হাঁকিয়ে ফেললেন কোহলি। বিশ্বের প্রথম ব্য়াটার হিসেবে পাঁচশো তম ম্যাচে এই নজির গড়লেন তিনি।


দিনের শেষে বিরাট জানান, ''আমি দারুণ উপভোগ করেছি ক্রিজে। নিজে একটা ছন্দে ছিলাম। আমি সবসময় চাপের মুখে ব্যাটিং করা। ক্রিজে সময় কাটানোটা উপভোগ করি। আমি এটাকে সুযোগ হিসেবে নিতে ভালবাসি। নিজের সেরাটা বের করে আনতে পারি।'' ৭৬ শতরানের মালিক আরও বলেন, ''আমি আমার সময় নিয়েছিলাম। ওদের বোলাররা ভাল জায়গায় বল করছিল। আউটফিল্ডও স্লো ছিল। তাই আমাকে সময় নিতে হচ্ছিল।'' 


পাঁচ বছর পর বিদেশের মাটিতে সেঞ্চুরি প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, ''দলের স্বার্থে আমি সবসময় খেলতে চাই। রান করতে চাই। যখনই দলের আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পরবে, তখনই নিজের সেরাটা দিতে মরিয়া থাকি আমি। দেশের হয়ে ৫০০ ম্যাচ খেলতে পারছি, এটার জন্য আমি সৌভাগ্যবান। নিজের শরীরের খেয়াল রাখতে হয় আমাকে। নিয়মিত ডায়েট, পরিমিত ঘুম, শরীর চর্চা। সবকিছুতেই শৃঙ্খলা মেনে চলার চেষ্টা করি। সিঙ্গলস নেওয়ার সময় চেষ্টা করি ডাবলসে যাতে তা পরিণত করতে পারি।''


সেঞ্চুরি করে কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরকে ছাপিয়ে গেলেন কোহলি। কীভাবে? অনেকে মনে করেন, সচিনের একশো আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির রেকর্ড যদি কেউ ভাঙতে পারেন, তাহলে সেটা কোহলি। সচিন নিজেও একাধিকবার সেই কথাই বলেছেন। কোহলির শুক্রবারের সেঞ্চুরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ৭৬তম সেঞ্চুরি। সচিনকে স্পর্শ করতে গেলে এখনও ২৪ সেঞ্চুরি করতে হবে বিরাটকে। যে সংখ্যাটা নেহাত ছোট নয়। কোহলির সামনে তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ।


তবে একটা বিষয়ে সচিনকে পেরোলেন কোহলি। কেরিয়ারের ৫০০তম ম্যাচ খেলার সময় সচিনের ঝুলিতে ছিল ৭৫টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। বিরাটের সেখানে এতটা বেশি। ৭৬টি সেঞ্চুরি। তালিকায় তিন ও চার নম্বরে থাকা রিকি পন্টিং ও জাক কালিস অনেক পিছনে। পাঁচশোতম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সময় পন্টিংয়ের ঝুলিতে ছিল ৬৮টি সেঞ্চুরি। পাঁচশোতম ম্যাচ খেলার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার জাক কালিস করেছিলেন ৬০টি সেঞ্চুরি। সেক্ষেত্রে অভিনব ও বিরল এক কীর্তি গড়লেন কোহলি। পাঁচশোতম ম্যাচ খেলে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করার নিরিখে।