স্টকহোমে সুইডেনের বিরুদ্ধে প্লে অফে গোলশূন্য ড্রয়ে ম্যাচ শেষ করে ইতালি। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে ১ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় সুইডেন। ২০০৬-এর পর এই প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে চলেছে তারা।
খেলার শেষে সুইডিশ ফুটবলাররা উল্লাসে ফেটে পড়েন। অন্যদিকে ইতালির ক্যাপ্টেন গিয়ানলুইগি বুফোঁ সহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে দেখা যায় প্রকাশ্যে কাঁদতে। ২০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার পর এই ম্যাচই দেশের হয়ে তাঁর শেষ ম্যাচ ছিল।
এর আগে একবারই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি আজুরিরা। সেটা ছিল ১৯৫৮-র বিশ্বকাপ। ১৯৩০-এর প্রথম বিশ্বকাপেও খেলেনি তারা। ১৯৮৪ ও ১৯৯২-এর ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার যোগ্যতামানও তারা পার হতে পারেনি।
ইতালির কোচ গিয়ান পিয়েরো ভেঞ্চুরা ম্যাচ হারের সিংহভাগ দায় নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন। দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
২০৬-এ বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই ইতালির ফুটবলে ভাঙন শুরু হয়েছে। অঁদ্রে পির্লো ও ফ্রান্সেস্কো তোত্তির পর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মত কোনও খেলোয়াড় পায়নি তারা। ইউরো ২০১২-র তারকা মারিও বালোতেলিও গতবারের বিশ্বকাপে আজুরিদের জঘন্য পারফরম্যান্সের পর আর জায়গা পাননি দলে।