লন্ডন: কাল ভারত বনাম ইংল্যান্ডের তৃতীয় ওয়ান ডে (IND vs ENG 3rd ODI) ম্যাচের মাধ্যমেই নিজের বর্ণময় আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ইতি টানতে চলেছেন ঝুলন গোস্বামী (Jhulan Goswami)। দুই দশকের থেকেও দীর্ঘ কেরিয়ারে তারকা ক্রিকেটারের ঝুলিতে রয়েছে একগুচ্ছ রেকর্ড। তা সত্ত্বেও ঝুলনের একটি আক্ষেপ রয়েই গিয়েছে। লর্ডসে শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে সেই নিয়েই মুখ খুললেন ভারতীয় কিংবদন্তি।
ঝুলনের আক্ষেপ
সাংবাদিক সম্মেলনে আবেগতাড়িত ঝুলন বলেন, 'আমি দুই বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছি। যদি ওই দুই ফাইনালের মধ্যে আমরা একটিও জিততে পারতাম, তাহলে ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে তো বটেই, দলের সকলেও খুশি হত। সকলেই তো দিনের শেষে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়েই খেলা শুরু করে। আমরা সেটাই পারিনি। এটাই আমার কেরিয়ারে সবচেয়ে বড় আক্ষেপ। চার বছর ধরে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি চলে। সকলের জন্যই বিশ্বকাপ জয়টা স্বপ্ন। এর জন্য সকলেই কঠোর পরিশ্রম করে। তবে এটুকু আমি বলতে পারি, যে মহিলা ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা কিন্তু আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।'
অভিনব উদ্যোগ
২০০২ সালে জানুয়ারি মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেন ঝুলন। মহিলাদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে ঝুলনই সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। তিনি এখনও পর্যন্ত ওয়ান ডেতে ২৫৩টি উইকেট নিয়েছেন। তবে কালই তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ হতে চলেছে। সেই ম্যাচ উপলক্ষ্যে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলা (সিএবি)। বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা শহরের নামী মাল্টিপ্লেক্সে শনিবার ঝুলনের কেরিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা করেছে। সিএবি-র তরপে জানানো হয়েছে, এলগিন রোডের আইনক্স ফোরামে শনিবার দুপুর আড়াইটে থেকে ভারত বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচ সরাসরি বড় পর্দায় দেখানো হবে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ আগেই জিতে নিয়েছে ভারত। শনিবারের ম্যাচ কার্যত নিয়মরক্ষার। তবে ঝুলনের শেষ ম্যাচ হিসাবে লর্ডসে আবেগে ভাসছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের তারকারা। মহিলাদের ক্রিকেটে ঝুলনের অবদান নিয়ে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর বলেছেন, “ঝুলনদির থেকে অনেক কিছু শিখেছি আমরা। আমার অভিষেকের সময় ওই অধিনায়ক ছিল। তখন থেকে আজ পর্যন্ত অনেক কিছু শিখেছি ওর থেকে। এখন রেণুকা সিংহ, মেঘনা সিংহের মতো তরুণ বোলাররা ঝুলনদির সাজঘরে থাকার প্রভাব বুঝতে পারছে। কীভাবে ঝুলনদি বল করে এবং গোটা ম্যাচে ছন্দ বজায় রাখে, সেটা ওরা শিখতে পারছে ঝুলনদির কাছ থেকে। আমাদের প্রত্যেকের কাছে অনুপ্রেরণা ঝুলনদি।”
আরও পড়ুন: