লন্ডন: চলতি মরশুমের পর আর্সেনাল ফুটবল ক্লাবের দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন য়ুগরেন ক্লপ। ২০১৫ সাল থেকে অ্যানফিল্ডে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ক্লপ।  জার্মানির এই কোচ গত নভেম্বরেই ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। এবার ক্লাবের পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হল। ক্লাবের সোশ্য়াল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে জানানো হয়, ''এই মরশুম শেষে লিভারপুল কোচের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন য়ুগরেন ক্লপ। ক্লাব কর্তৃপক্ষকে তিনি নিজের এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।'' ক্লপ বলেছেন, ''আমি বুঝতে পারছি যে এটা এই মুহূর্তে অনেক মানুষকে ধাক্কা দেবে। বিশেষ করে আপনি যখন প্রথমবারের মতো খবরটি শুনবেন। তবে আমি নিশ্চিতভাবেই এর ব্যাখ্যা দেব বা অন্তত দেওয়ার চেষ্টা করব।''


নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়ে ক্লপ বলেছেন, ''আমি এই ক্লাবের সবকিছু ভালোবাসি। আমি এই শহরের সবকিছু ভালোবাসি। আমি সমর্থকদের সবকিছু ভালোবাসি। আমি দলটিকে ভালোবাসি, স্টাফদের ভালোবাসি। আমি সবকিছুই ভালোবাসি। এরপরও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বুঝতেই পারছেন, আমি এটা সত্যিই চাই এবং নিজের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলেই মনে করছি। ব্যাপারটা হচ্ছে, কীভাবে বলব, আমার আসলে প্রাণশক্তি ফুরিয়ে আসছে। এখন কোনো সমস্যা নেই। তবে আমি জানতাম, একসময় না একসময় আমাকে এই ঘোষণাটা দিতেই হবে। আমি এখন ভালো আছি। কিন্তু এটাও জানি, এই কাজটা আর দিনের পর দিন আমি করে যেতে পারব না।'' পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু না জানালেও, প্রিমিয়ার লিগের কোনো দায়িত্ব পালন না করার কথা নিশ্চিত করেছেন ক্লপ।


২০১০-১১ ও ২০১১-১২ দুই মরশুমে ডর্টমুন্ডকে এনে দেন লিগ শিরোপা। ২০১২-১৩ মরশুমে জার্মান ক্লাবটিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন ক্লপ।ডর্টমুন্ড অভিযান সম্পন্ন করে ২০১৫ সালের অক্টোবরে ক্লপ দায়িত্ব নেন লিভারপুলের।


ইস্টবেঙ্গলে বাংলাদেশের ফুটবলার


বৃহস্পতিবার দিনটির জন্য অপেক্ষা করেছিলেন লাল-হলুদ শিবিরের সকলে। কারণ, এদিনই ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) হয়ে খেলতে কলকাতায় এলেন বাংলাদেশের জাতীয় মহিলা দলের ফুটবলার সানজিদা আখতার (Sanjida Akhter)। বৃহস্পতিবার শহরে পা রাখলেন তিনি। লাল-হলুদ জার্সি গায়ে মহিলাদের আই লিগ খেলবেন সানজিদা। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের পর সানজিদাকেও দেখা যাবে ভারতের ক্লাব ফুটবলে। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। পরে ক্লাবের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিও পোস্ট করা হয়। লেখা হয়, 'আমাগো বাসায় স্বাগতম, সানজিদা!'