তুরিন: বয়স যে শুধুমাত্র একটা সংখ্যামাত্র, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বোধহয় তিনি। বয়স ৪৫। আর এই বয়সেও ফুটবল মাঠে তেকাঠির নিচে তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। কিন্তু অবশেষে তিনি থামলেন। তিনি ইতালির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার জিয়ান্নি বুঁফো। পামাতে খেলছিলেন গত ২ মরসুম ধরে। বুঁফোর কেরিয়ার শুরুও হয়েছিল এই পামাতেই। নিজের প্রথম ক্লাবেই নিজের শেষ ম্যাচ খেলে বিদায় জানালেন ফুটবলকে। উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছিলেন। একই সঙ্গে ৫০০ ক্লিনশিট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ১৯৯৫ সালে পামাতে প্রথম ক্লাব ফুটবলের কেরিয়ার শুরু হয় বুঁফোর। এরপর সেখানে ২০০১ সাল পর্যন্ত ছিলেন। এরপর জুভেন্তাসে পা রাখেন। টানা ১৭ বছর ২০১৮ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন ইতালির ক্লাবে। মাঝে পিএসজিতে গিয়েছিলেন এক মরসুমের জন্য। ক্লাব ফুটবলে ১০টি সিরি-এ খেতাব জিতেছেন এই কিংবদন্তি গোলরক্ষক। 


 






দেশের জার্সিতেও উজ্জ্বল বুঁফোর কেরিয়ার। ২০০৬ সালে ইতালির জার্সিতে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। বিদায় বেলায় নিজের সোশ্য়াল মিডিয়াতে বুঁফো লিখেছেন, ''এটাই সব বন্ধুরা। আপনারা আমাকে সব দিয়েছেন, আমিও আপনাদের সব দিয়েছি। আমরা একসঙ্গে করেছি।''


ক্লাব ফুটবলে অঘটন


এতগুলো বছর ধরে ফুটবল খেলছেন। কিন্তু কখনও এমন পরিস্থিতিতর সম্মুখীন তিনি হননি। ক্লাব ফুটবলে আরও একটি অঘটনের মুহূর্তের সাক্ষী থাকল গোটা ফুটবল বিশ্ব। ব্রাজিলের তারকা ডিফেন্ডার মার্সেলো ক্লাব ফুটবলে খেলছিলেন। সেই সময় প্রতিপক্ষের অর্ধের দিকে এগােচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু আচমকাই মার্সেলোকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের লুসিয়ানো স্যাঞ্চেস। ২ জনেই গতিতে ছিলেন, তাই কেউই নিজের গতি থামিয়ে দিতে পারেননি। যার ফল হল মারাত্মক। বেকায়দায় মার্সেলো আঘাত ককরে বসেন লুসিয়ানোর পায়ে। সেই মুহূর্তেই স্যাঞ্চেসের পা ভেঙে উল্টো দিকে একদম মুচড়ে যায়। সেই ঘটনায় আচমকাই পা ভেঙে যায় স্যাঞ্চেসের। মার্সেলোকে লাল কার্ড দেখানো হয়। তবে সবার চোখ তখন স্যাঞ্চেসের দিকে। 


স্যাঞ্চেসের পরিস্থিতি দেখে মাঠেই কেঁদে ফেলেন মার্সেলো। লাল কার্ড দেখানোর ফলে সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছাড়তে হয় রিয়াল মাদ্রিদের প্রাক্তন উইঙ্গারকে। কিন্তু তার থেকেও বেশি মার্সেলোকে ভাবায় তাঁর অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য কারও কেরিয়ার এমন বিপদের মুখে এসে দাঁড়ানোয়। দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর কোপা লিবার্তাদোরেসের ম্যাচে মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ও আর্জেন্টিনার আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স।