দুবাই: মরুশহর দুবাইয়ে পঞ্জাব ও দিল্লির টি-২০ লড়াইয়ের উত্তেজক সমাপ্তি হল। নির্দিষ্ট ২০ ওভার করে হওয়ার পর ম্যাচ টাই হয়ে যায়। এরপর সুপার ওভারে জয় পেল দিল্লি। বারবার ম্যাচের রং বদলেছে, শেষটাও হল অভাবনীয়ভাবেই।


খেলা শেষ হওয়ার পর পঞ্জাবের অধিনায়ক কে এল রাহুলের মন্তব্য, ‘এই হারের অনুভূতি একইসঙ্গে তিক্ত ও মধুর। ১০ ওভার শেষ হওয়ার পর আমি সুপার ওভার নিতাম। আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চাই এবং দল হিসেবে উন্নতি করতে চাই। ময়ঙ্ক অবিশ্বাস্য খেলেছে। এই ম্যাচ এত কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া জাদু ছাড়া আর কিছু না। ওর মতো একজনের কাছ থেকে আমরা এই ধরনের ইনিংসই আশা করি। ওকে এত আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে দেখে ভাল লাগছে। আমি টসের সময়ই বলেছিলাম, পিচ কেমন আচরণ করবে জানি না। দু’দলই দেড়শোর বেশি রান করল। আমরা ভুল করেছি, তবে জেতার চেষ্টা করেছি। অধিনায়ক হিসেবে সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’

দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার বলেছেন, ‘আমরা গত মরসুমেও টাই ম্যাচ সুপার ওভারে জিতেছিলাম। আমাদের এটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কাগিসো (রাবাডা) আমাদের পক্ষে ম্যাচের গতি বদলে দিয়েছে। পিচে ঘাস ছিল এবং বল ঘুরছিল। আমরা ৩-৪ ওভার খেলার পর সেটা আবিষ্কার করি। ক্যাচ মিস করার জন্য আলোকে দোষ দেব না। আমরা বেশি রান তুলতে পারিনি। তাই উইকেট নেওয়া জরুরি ছিল। আমার মাথায় ছিল, যদি কাগিসোর ওভার শেষদিক পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখতে পারি, তাহলে সেটা কাজে দেবে। (রবিচন্দ্রন) অশ্বিনকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ও খেলা বদলে দিয়েছিল। ফিজিওই সিদ্ধান্ত নেবে, তবে অশ্বিন জানিয়েছে, ও পরের ম্যাচে খেলবে।’

দিল্লির জয়ের অন্যতম নায়ক রাবাডা বলেছেন, ‘আমি স্নায়ুর চাপে ভুগছিলাম। সৌভাগ্যবশত আজকের দিনটি আমার পক্ষে গিয়েছে। আমি লেংথ অদল-বদল করার চেষ্টা করছিলাম। সেটা কাজে লেগেছে। উইকেটে বাউন্স ছিল। বাউন্ডারিও বেশ লম্বা। ফলে মাঠের বাইরে বল পাঠানো সহজ ছিল না।’

ম্যাচের সেরা মার্কাস স্টোইনিস বলেছেন, ‘অদ্ভুত ম্যাচ হল। কখনও কখনও ভাগ্য সহায় থাকে, আবার কোনও সময় নায়ক থেকে খলনায়ক হয়ে যেতে হয়। আমরা কিছুটা স্নায়ুর চাপে ভুগছিলাম। আজ সুপার ওভার হবে ভাবিনি। তবে শেষপর্যন্ত জয় পেয়ে ভাল লাগছে।’