কর্ণাটক: শারীরিকভাবে পুরো ফিট। ফের রঞ্জি ট্রফিতে  (Ranji Trophy) কর্ণাটকের জার্সিতে নামতে চলেছেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল (Mayank Agarwal)। ত্রিপুরার বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচ খেলতে গিয়ে বিমানে জলপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন ময়ঙ্ক। এমনকী রেলওয়েজের বিরুদ্ধে ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি এই ডানহাতি তারকা ওপেনার। অবশেষে চিকিৎসকদের তরফে ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে কর্ণাটকের অধিনায়ককে। আগামী ম্যাচেই মাঠে নামতে পারবেন তিনি। 


ময়ঙ্কের দলে ফেরা কর্ণাটক শিবিরের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে নিশ্চিতভাবেই। এখনও পর্যন্ত ব্যাট হাতে চলতি মরশুমে ২ টো সেঞ্চুরি ও ১টি অর্ধশতরান করেছেন ময়ঙ্ক।


উল্লেখ্য, রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy 2024) ত্রিপুরার বিরুদ্ধে এক হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে জয় পেয়েছিল কর্ণাটক। তবে সেই ম্যাচ খেলে ফেরার পথেই বিপত্তি। নয়াদিল্লিগামী বিমানে আকাশপথেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন কর্ণাটক দলের অধিনায়ক ময়ঙ্ক আগরওয়াল (Mayank Agarwal)। কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার (Karnataka State Cricket Association) তরফে পিটিআইকে ময়ঙ্কের অসুস্থার বিষয়ে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁকে তড়িঘড়ি আগরতলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীর কেমন আছে, সেই বিষয়ে এখনও কোনও আপডেট পাওয়া যায়নি। এমনকী তাঁর কী কারণেই বা তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন, সেই বিষয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।


ম্যাচের পরের দিন আড়াইটার বিমানে ফেরার জন্য বিমান ধরেন কর্নাটকের গোটা দল। ময়ঙ্কের গোটা কর্ণাটক দলের সঙ্গে দিল্লি হয়ে রাজকোটে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সফরপথেই তিনি অসুস্থ হয়ে যান। কর্নাটকের অধিনায়ক ময়ঙ্ক বিমানে উঠে বিমান সেবিকার কাছ থেকে জল চান। সীটের সামনেই ছিল খোলা জলের বোতল। সেই জল পান করতেই বিপত্তি। গলায় জ্বলন শুরু হয় তাঁর। এরপরই বমি করেন ময়ঙ্ক। আগরতলা বিমানবন্দর থেকে তড়িঘড়ি তাকে আইএলএস হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। খবর পেয়ে তাঁকে দেখতে যান পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।


এই ঘটনার পর কর্ণাটক ক্রিকেট দলের ম্যানেজার রমেশ রাও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উক্ত জলের বোতল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চিকিৎসকের বক্তব্য আপাতত সঙ্কট মুক্ত ময়ঙ্ক আগরওয়াল। তবে গলায় স্বর আসতে দিন দু'য়েক মতো সময় লাগতে পারে। যদিও এই ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি কর্ণাটক দলের ম্যানেজমেন্ট। অফ ক্যামেরায় দলের ম্যানেজার জানান, তারা চাযননা প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে আসার আগে, বিমান কর্তৃপক্ষ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্যের বদনাম হোক।