শ্রীনগর: দীর্ঘদিন ধরে অশান্ত থাকার পর প্রথমবার শান্তি ফেরার ইঙ্গিত মিলল উপত্যকায়।


গত ৮ জুলাই হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় জম্মু  ও কাশ্মীরে। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় আড়াই মাস। প্রতিবাদী ও নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ৮২ জন। এদের মধ্যে ২ পুলিশ আধিকারিকও রয়েছেন। আহতের সংখ্যা কয়েক’শ।

আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনকে কড়া হাতে দমন করতে হয়েছে। জারি করা হয় কারফিউ। পাল্টা বনধ ডেকে গোটা উপত্যকা কার্যত অচল করে দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরেই অগ্নিগর্ভ রয়েছে।

এবার শান্তি ফেরার ইঙ্গিত মিলল জম্মু ও কাশ্মীরে। জানা গিয়েছে, এই প্রথম কারফিউ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে, সতর্কতা অবলম্বন করে বহু জায়গায় এখনও আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।

এক পুলিশ আধিকারিক জানান, সার্বিক পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।  গতকাল কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি। মোটের ওপর শান্তি বজায় ছিল। তবে, প্রশাসন কারফিউ শিথিল করলেও, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বনধ শিথিল করেনি।

ফলে, এখনও স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত রয়েছে উপত্যকার একটা বড় অংশে। স্কুল-কলেজ, দোকানপাট থেকে শুরু করে পেট্রোল পাম্প এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ ছিল। এদিন নিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা বনধ ৮১ দিনে পড়ল। তবে, রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।