কোচি: এ বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হচ্ছে বিতর্কিত পেসার শান্তাকুমার শ্রীসন্তের সাত বছরের নির্বাসনের মেয়াদ। এরপরেই তাঁকে রঞ্জি ট্রফির দলে ফেরাতে পারে কেরল। এমনই জানিয়েছেন কোচ টিনু জোহানন। তবে একইসঙ্গে ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন পেসার জানিয়েছেন, দলে ফিরতে হলে শ্রীসন্তকে ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে।


২০১৩ সালের আইপিএল-এ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলার সময় শ্রীসন্ত ও তাঁর দুই সতীর্থ অজিত চান্ডিলা ও অঙ্কিত চবন স্পট-ফিক্সিং করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এছাড়া মুম্বইয়ে গ্রেফতার হন বিন্দু দারা সিংহ ও চেন্নাই সুপার কিংসর অন্যতম শীর্ষকর্তা গুরুনাথ ময়াপ্পান। ২০১৫ সালে অবশ্য শ্রীসন্তকে রেহাই দেয় দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। যদিও তার আগেই এই পেসারকে আজীবন নির্বাসিত করার কথা ঘোষণা করেছিল বিসিসিআই। ২০১৮ সালে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করার কথা ঘোষণা করে কেরল হাইকোর্ট। গত বছর আবার সেই রায় বাতিল করে বিসিসিআই-এর পক্ষে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে শাস্তি কমাতে বলে আদালত। এরপরেই আজীবন নির্বাসনের বদলে সাত বছর নির্বাসনের কথা ঘোষণা করে বিসিসিআই।

২০১৩ সালের মে মাসের পরে আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেননি শ্রীসন্ত। ফলে এতদিন পরে তাঁর পক্ষে আর রঞ্জি ট্রফি খেলা সম্ভব হবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। তবে এই পেসার আত্মবিশ্বাসী। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাকে সুযোগ দেওয়ায় কেরল ক্রিকেট সংস্থার কাছে ঋণী থাকব। আমি ফিটনেসের প্রমাণ দিয়ে খেলায় ফিরব। এখন সব বিতর্ক দূরে সরিয়ে রাখার সময় এসেছে।’

সম্প্রতি কেরল ক্রিকেট সংস্থার সচিব শ্রীজিৎ নায়ার জানিয়েছেন, শ্রীসন্ত মাঠে ফিরলে দলের সম্পদ হয়ে উঠবেন। সভাপতি সজন ভার্গিজও জানিয়েছেন, ‘শ্রীসন্তকে স্বাগত জানাতে তৈরি কেসিএ। তাঁকে শিবিরে থাকতে হলে ফিটনেসের পরীক্ষা দিতে হবে। তিনি অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ বোলার।’

ভারতের হয়ে ২৭টি টেস্ট ও ৭৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন শ্রীসন্ত। ২০০৭ সালে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে তিনিই পাকিস্তানের মিসবা উল হকের ক্যাচ ধরে ভারতকে জিতিয়েছিলেন। ২০১১ সালে একদিনের বিশ্বকাপজয়ী দলেও ছিলেন কেরলের এই ক্রিকেটার। তবে একাধিকবার বিতর্কে জড়ান তিনি। ২০০৮ সালের আইপিএল-এর একটি ম্যাচের পর  তাঁকে চড় মারেন হরভজন সিংহ। এরপরেও একাধিক বিতর্কিত ঘটনার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে শ্রীসন্তের।