আজ টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান করে কলকাতা। দলের মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে সক্ষম হন। সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ওপেনার শুবমান গিল। অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান করেন ৪০ রান। লকি ফার্গুসন ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাকি সব ব্যাটসম্যানই দ্রুত ফিরে যান। নীতীশ রানা ০, রাহুল ত্রিপাঠি ৭, দীনেশ কার্তিক ০, সুনীল নারাইন ৬, কমলেশ নাগরকোটি ৬, প্যাট কামিন্স ১ ও বরুণ চক্রবর্তী ২ রান করেন। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ০ রানে অপরাজিত থাকেন।
পঞ্জাবের হয়ে ৩ উইকেট নেন মহম্মদ শামি। দু’টি করে উইকেট নেন ক্রিস জর্ডন ও রবি বিষ্ণোই। একটি করে উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মুরুগান অশ্বিন।
আজ শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে কলকাতা। দ্বিতীয় বলেই নীতীশকে ফিরিয়ে দেন ম্যাক্সওয়েল। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ত্রিপাঠিকে ফেরান শামি। এই ওভারের শেষ বলে ফিরে যান কার্তিক। ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যাওয়া কলকাতাকে লড়াইয়ে ফেরায় মর্গ্যান-শুবমান জুটি। দলের ৯১ রানের মাথায় ফিরে যান কেকেআর অধিনায়ক। তবে ১৮.৩ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন শুবমান। তিনি দলের রান যতটা সম্ভব বাড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা তাঁকে সেভাবে সাহায্য করতে পারেননি। একমাত্র ফার্গুসন দ্রুতগতিতে রান তোলেন।
রান তাড়া করতে নেমে পঞ্জাবকে বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়নি। ইনিংসের শুরুটা ভাল করেন দুই ওপেনার কে এল রাহুল (২৮) ও মনদীপ সিংহ (৬৬ অপরাজিত)। দলের ৪৭ রানের মাথায় রাহুল ফিরে গেলেও, তিন নম্বরে নামা ক্রিস গেইল ২৯ বলে ৫১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে পঞ্জাবের জয় নিশ্চিত করেন। তিনি কেকেআর-এর বিরুদ্ধে ভাল খেলার রেকর্ড বজায় রাখলেন। এদিন তিনি পাঁচটি ছক্কা মারেন।
এই জয়ের ফলে প্লে-অফের দৌড়ে প্রবলভাবে থাকল পঞ্জাব। পরপর ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর রাহুলের দল, যা পরের ম্যাচগুলিতে কাজে লাগবে। অন্যদিকে, হেরে চাপে পড়ে গেল কেকেআর।