আবু ধাবি: কলকাতা নাইট রাইডার্সকে সহজেই ৮ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ১০ ম্যাচে বিরাট কোহলির দলের পয়েন্ট ১৪। দিল্লি ক্যাপিটালসেরও ১০ ম্যাচে পয়েন্ট ১৪। রান রেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে দিল্লি। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে থাকল কেকেআর।


চলতি আইপিএল-এ দু’বারের লড়াইয়েই কেকেআর-কে টেক্কা দিল আরসিবি। প্রথম ম্যাচে বিরাটরা জিতেছিলেন ৮২ রানে। আজও তাঁরা জিতলেন বড় ব্যবধানে। অধিনায়ক বদল হওয়ার পরেও কেকেআর-এর পারফরম্যান্সের  বিশেষ উন্নতি হল না।

আজ টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। কেকেআর শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন মহম্মদ সিরাজ। তিনি দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে এসে পরপর ২ বলে ফিরিয়ে দেন রাহুল ত্রিপাঠি (১) ও নীতীশ রানাকে। পরের ওভারেই শুবমান গিলকে (১) ফিরিয়ে দেন নবদীপ সাইনি। ৩ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বসে কেকেআর। এরপর চতুর্থ ওভারে টম ব্যান্টনকে (১০) ফিরিয়ে দেন নবদীপ। ১৪ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন হয়। এরপর লড়াই শুরু করেন মর্গ্যান (৩০)। এরই মধ্যে দলের ৩২ রানের মাথায় ফিরে যান প্রাক্তন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক (৪)। প্যাট কামিন্সও (৪) হতাশ করেন। কুলদীপ যাদব করেন ১২ রান। ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন লকি ফার্গুসন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ৮৪ রান করে কেকেআর।

আরসিবি-র হয়ে সিরাজ ৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহল। একটি করে উইকেট নেন নবদীপ ও ওয়াশিংটন সুন্দর।

৮৫ রান তাড়া করে জয় পেতে আরসিবি-র কোনও সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। সেটা হয়ওনি। ইনিংসের শুরুটা ভাল করেন দুই ওপেনার দেবদত্ত পাড়িক্কল (২৫) ও অ্যারন ফিঞ্চ (১৬)। তাঁরা আউট হয়ে যাওয়ার পর বাকি কাজটা শেষ করে দেন বিরাট (১৮) ও গুরকিরত সিংহ মান (২১)। ১৩.৩ ওভারেই জয় তুলে নেয় আরসিবি। কেকেআর-এর হয়ে একটি উইকেট নেন ফার্গুসন। রান আউট হন দেবদত্ত।