ম্যাঞ্চেস্টার: বিশ্বকাপের তিন ম্যাচে আপাতত তাঁর রান ১৭২। এর মধ্যে ১৩৫ রানই এসেছে ওপেনিং করে। রয়েছে একটি অর্ধশতরানের ইনিংসও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে জেসন হোল্ডারের বলে উইকেট না খোয়াতে হলে বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতরানটাও পেয়ে যেতেন কেএল রাহুল। রবিবার বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত। ওপেনার রাহুল আত্মবিশ্বাসী, এজবাস্টনে পুরনো ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না এবং বেন স্টোকস, মার্ক উড, জোফ্রা আর্চার, মইন আলিদের বিরুদ্ধে বড় স্কোর খাড়া করবেন তিনি।


কেএল রাহুলের ক্রিকেটীয় ব্যাকরণ নিয়ে মুগ্ধ অনেকেই। তবে তাঁর শট সিলেকশন এবং নিজের উইকেটকে যথাযোগ্য মর্যাদা না দেওয়ার কারণে অনেকে তাঁর সমালোচনাও করেন। এই তো সেদিন রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে আউট হলেন। আফগান স্পিনারদের বিরুদ্ধে যেটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেছেন সিংহভাগ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই। যদিও রাহুলের মতে সেটা ভুল নয়। রিভার্স সুইপ খেলে রান পেয়েছেন এবং ওই শট-টা ভাল খেলেনও, আর সে কারণেই রিভার্স সুইপ খেলেছিলেন। ভাগ্য সহায় না হওয়ায় সেদিন উইকেট দিয়ে আসতে হয়েছে তাঁকে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বোল্ড হওয়া নিয়ে বোলিংকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। দুই ক্ষেত্রেই সেট হয়ে গিয়েও বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয়েছেন কেএল রাহুল। দ্রাবিড় ঘরানার এই ব্যাটসম্যান তাঁর ‘কনভার্শন’ নিয়ে খানিকটা চিন্তিত, তবে ভীত নন। বার্মিংহাম ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী রাহুল বলছেন, “হ্যাঁ, এটা হতাশজনক হলেও আমি কোনওভাবেই ভীত নই। প্রথম ১০-১৫ ওভারে অনেকটা পরিশ্রম করছি। ওপেনার হিসেবে প্রথম ২৫ থেকে ৩০ রান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে যখন গতি বাড়ানোর প্রয়োজন তখন সেটা করতে পারিনি, সেটা আমার কাছে হতাশারই।” তিনি আরও বলছেন,  “আমি অনেক কিছুই সঠিকভাবে করছি। তবে হ্যাঁ, যে ভুলগুলো হয়েছে সেটা থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি এবং আগামীতে বিষয়গুলোর ওপর নজর থাকবে আমার।”


ওপেনের ক্ষেত্রে যে তিনি নম্বর চারের থেকেও বেশি সাবলীল, সেকথাও লুকিয়ে রাখেননি এই ভারতীয় ওপেনার। তাঁর কথায়, “জীবনের বেশিরভাগ সময় ওপেনই করেছি, সেদিক থেকে দেখতে গেলে চার নম্বরের থেকে ওপেন করাই আমার কাছে বেশি সহজ।”