রাঁচি: এবারের আইপিএলের (IPL 2024 Auction) নিলামে একের পর এক চমক দেখা গিয়েছে।  সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ হয়েছে কোনও ক্রিকেটারের জন্য এবারের নিলামেই। মিচেল স্টার্ক ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা পেয়ে যেমন চমকে দিয়েছেন।  তেমনি তাঁরই দেশের সতীর্থ  প্যাট কামিন্স ২০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দর পেয়েছেন। আবার মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা বেস প্রাইস থাকা আনকোরা অজি পেসার স্পেন্সার জনসনের দর উঠেছে ১০ কোটি টাকা।  তবে এত বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যেও উজ্জ্বল ভারতের এক তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটারের গল্প।  তিনি ধোনির শহর রাঁচির উইকেটকিপার ব্যাটে রবিন মিঞ্জ। নিলামে গুজরাত টাইটান্স তাঁকে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে দলে নিয়েছে। 


ক্রিস গেলের মত পেল্লাই পেল্লাই ছক্কা হাঁকানোয় ওস্তাদ রবিন।  তাই তিনি রাঁচির গেল নামেই পরিচিত। নিলামে গুজরাত টাইটান্স তাকে দলে নিয়েছে। তবে রবিনের বাবা বলছেন কোনও দল না নিলেও তার ছেলে আইপিএল এবার খেলতই।  আর এমন আশ্বাসবাণী নাকি দিয়েছিলেন স্বয়ং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এক সাক্ষাৎকারে রবিনের বাবা ফ্রান্সিস মিঞ্জ বলেন, "কিছুদিন আগে বিমানবন্দরের ধোনির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল।  সেখানে তিনি বলেছিলেন যদি নিলামে কোনও দল রবিনকে না নেয়, তবে সিএসকে নিয়ে নেবে।"


চলতি বছরের অগস্ট মাসে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ইংল্যান্ডে একটি আইপিএলের প্রস্তুতি শিবির বসিয়েছিল। সেই শিবিরে রবীনকেও বিলেতে পাঠানো হয়। তাঁকে মুম্বই শিবির নাম দিয়েছে ইন্ডিয়ান পোলার্ড। আইপিএলের ইতিহাসে তিনিই প্রথম আদিবাসী ক্রিকেটার। ধোনির রাজ্য ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলা থেকে উঠে এসেছেন এই অচেনা প্রতিভা। যিনি ভারতীয় ক্রিকেটে পাওয়ারহিটার হিসেবে বিশেষ পরিচিত।


রবিনে বেস প্রাইস ছিল ২০ লক্ষ টাকা। সেই বেস প্রাইস থেকে দাম ওঠে প্রথমে ১ কোটিতে। চেন্নাই তখনও রবিনকে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এরপর অবশ‌্য চেন্নাই সরে আসে। ঠিক তখনই আসরে গুজরাত টাইটান্স ঢুকে পড়ে। তবে এসময় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ লড়াইটা আরও আকর্ষণীয় করে দেয়। শেষমেশ ৩.৬০ কোটিতে গুজরাতই তুলে নেয় রবিনকে।


একনজরে গুজরাত টাইটান্স দল


 


অভিনব সদারঙ্গনি, বি সাই সুদর্শন, দর্শন নালকণ্ডে, ডেভিড মিলার, জয়ন্ত যাদব, জোশুয়া লিটল, কেন উইলিয়ামসন, ম্যাথু ওয়েড, মহম্মদ শামি, মোহিত শর্মা, নূর আহমেদ, আর সাই কিশোর, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খান, শুভমান গিল, বিজয় শঙ্কর, ঋদ্ধিমান সাহা, স্পেনসার জনসন, শাহরুখ খান, উমেশ যাদব, রবিন মিঞ্জ, সুশান্ত মিশ্র, কার্তিক ত্যাগী, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই, মানব সুতার।