কলকাতা: উদ্দেশ্য দেশের ক্রীড়াপ্রেমী তরুণ প্রজন্মকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর সেই কারণেই এবার স্পোর্টস অ্য়াকাডেমি গড়ে উঠতে চলেছে বাংলায়। ম্য়াঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন কোচ পল নিয়েরির উপস্থিতিতে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে গেল। পল নিজেও অ্যাকাডেমির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পল। ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার গৌতম সরকারও। 


এই অ্য়াকাডেমি মূলত হবে কলকাতা, মুম্বই ও নয়ডায়। এর মূল উদ্দেশ্য হবে পাঁচ থেকে তার বেশি বয়সি বাচ্চাদের খেলাধূলোর প্রসারে পাশে থাকা ও উন্নতমানের পরিষেবা প্রদান করা। পলের মত ব্য়ক্তিত্বের সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে তাঁর অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতে পারবেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা নিজেদের স্বপ্ন সত্যি করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবে। 


শারীরিক শক্তির থেকেও বড় মানসিক শক্তির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে যাতে বাচ্চারা শুরু থেকেই মোকাবিলা করতে পারে, সেই বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হবে। নিয়েরি নিজে এর আগেও প্রচুর প্রতিভা তুলে এসেছেন। এবার সেই কাজটাই ভারতে করবেন তিনি। ফুটবল ছাড়াও এখানে হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল, টেনিসের মতো খেলার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।


বিজ্ঞানসম্মতভাবে এখানে কোচিং, অনুশীলনে গুরুত্ব দেওয়া হবে। খাওয়া দাওয়া, পর্যাপ্ত ডায়েট, শরীরের ফিট থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন সেই বিষয়ে জানানো হবে কচিকাঁচাদের। প্রথমে না হলেও পরে আবাসিক শিবিরের ব্য়বস্তা পরে করা হবে বলে জানানো হয়েছে। নিয়েরি বলছেন, ''যারা এখানে প্রশিক্ষণ নেবে, তাদের বয়স ও দক্ষতার ওপর প্রশিক্ষণের মান নির্ভর করবে। আশা করা যায় এখান থেকে কচিকাঁচারা অনেক উপকৃত হবে। খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়বে তাদের।'' গৌতম সরকারও এই উদ্যোগের সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ''কোনওকিছুই শুরু থেকে সাফল্য আসে না। ধীরে ধীরে গড়ে তোলা হয় যে কোনও কিছু। এখানেও ফল হয়ত আসবে ধীরে ধীরে। আমাদের ধৈর্য্য আছে। আমি আশাবাদী যে এখান থেকে বাচ্চারা ভাল ফল করবে ও তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে পারবে।''


এর আগেও ভারতে এসে ফুটবলের প্রসারে ও প্রতিভা তুলে আনার কাজ করেছেন নিয়েরি। একেবারে তৃণমূল স্তরের কোচেদের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন নিয়েরি। এবার এই অ্যাকাডেমিগুলোতে নিজের সুবিধে মত পরিদর্শন করে প্রতিভা বাছাইয়ের কাজ করতে পারবেন নিয়েরি।