বেঙ্গালুরু: প্রথম ভারতীয় মহিলা দাবাড়ু হিসেবে ইতিহাস গড়লেন কোনেরু হাম্পি। FIDE-র বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্য়াচে চিনের ইউসিং সংকে আটকে দিয়েই শেষ চারে জায়গা করে নিল হাম্পি। ম্য়াচ না জিতলেও ম্য়াচ ড্র করে শেষ চারে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে নিলেন হাম্পি। উল্লেখ্য, ম্যাচে সাদা ঘুঁটিতে প্রথম গেমে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন হাম্পি। কিন্তু দ্বিতীয় গেমে অন্ততপক্ষে ড্র করা প্রয়োজন ছিল। যদিও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল চিনের প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে কোনেরু হাম্পির। চিনের প্রতিপক্ষ ইউসিং সংয়ের জন্য কঠিন লড়াই ছিল এটি। কিন্তু কোনেরু শেষ পর্যন্ত নার্ভ বজায় রেখে ম্য়াচ ড্র করে নেন।
আগামী ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার দুটো সুযোগও থাকছে হাম্পির সামনে। বিশ্বকাপে প্রথম তিনজন, অর্থাৎ চ্যাম্পিয়ন, রানার্স আপ ও সেমিফাইনালিস্ট এই তিনজন সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করবেন। কোনেরু সেমিতে জায়গা করে নিলেও আর বৈশালী শেষ চারে জায়গা করতে পারেননি। চিনের প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ঝোং ই তানের বিরুদ্ধে প্রথম গেম ড্র করলেও দ্বিতীয় গেমে ম্য়াচ হেরে বসেন বৈশালী।
এদিকে, প্রায় ২৩ বছর পর ভারতের মাটিতে বসতে চলেছে দাবা বিশ্বকাপের আসর। এবারের টুর্নামেন্টে মোট ২০৬ জন দাবাড়ু এই বিশ্বকাপে অংশ নেবেন। উল্লেখ্য, শেষবার ২০০২ সালে ভারতের হায়দরাবাদে এই বিশ্বকাপের আসর বসেছিল। সেটিই ছিল ভারতে হওয়া শেষ দাবা বিশ্বকাপ। সেবারের টুর্নামেন্টে খেতাব জিতেছিলেন বিশ্বনাথন আনন্দ। প্লেয়াররা প্রত্যেকেই নক আউট ফর্ম্য়াটে খেলবেন। প্রত্যেক রাউন্ডে হেরে যাওয়া প্লেয়ার এলিমিনেট হয়ে যাবে।
FIDE-র তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ''দাবা বিশ্বকাপ বিভিন্ন ফর্ম্য়াটে এত বছর ধরে হয়ে আসছে। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে সিঙ্গল এলিমিনেশন ফর্ম্য়াটে খেলা হচ্ছে। প্রত্যেক রাউন্ড তিনদিন করে চলে।'' এই টুর্নামেন্টে প্রথম দুদিন সাধারণত ক্লাসিকাল গেমের জন্য় সংরক্ষিত করা হয়। আর যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তৃতীয় দিনে টাইব্রেকার হয়। প্রথম ৫০ দন প্রথম রাউন্ডে বাই পাবে। এরপর ৫১ থেকে ২০৬ জন দাবাড়ুকে প্রথম রাউন্ডে খেলতে হবে। উল্লেখ্য, এই বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন ভারতের ডি গুকেশ।