প্যারিস: বলা হয়, মিশেল প্লাতিনির পর তিনিই ফ্রান্স ফুটবলের সবচেয়ে বড় নাম। অনেকে প্লাতিনির সঙ্গে একই আসনে বসান তাঁকে। তিনি জিনেদিন জিদান (Zinadine Zidane)। ফ্রান্সকে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার কারিগর। আর সেই জিদানকেই কি না কটাক্ষ করে বসলেন নোয়েল লা গ্রায়েত!


তিতের পর ব্রাজিলের কোচ কে হবেন, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। সূত্রের খবর, জিদানকে কোচ করতে চায় ব্রাজিল। অন্যদিকে ফ্রান্সের কোচ হিসাবে দিদিয়ে দেশঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকে মনে করেছিলেন, রিয়াল মাদ্রিদকে এক সময় কোচিং করানো জিদান তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। পরে অবশ্য দেশঁ-র সঙ্গেই চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে নেয় ফ্রান্স ফুটবল সংস্থা।


জিদান কি তাহলে ব্রাজিলেই চলে যাবেন? এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফরাসি ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট গ্রায়েত বলেছিলেন, 'জিদান ব্রাজিলে? জিদানের যা মন চায় তাই করতে পারেন। জিদানকে যে ফ্রান্সের কোচ করা হবে, সে বিষয়ে কখনওই ভাবনাচিন্তা করা হয়নি। দেশঁকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতীও আমি কোনও সময়েই ছিলাম না।' এমনকী জিদান যদি তাঁকে ফোনও করতেন, তাহলে তিনি ফোনই ধরতেন না বলে জানিয়েছেন গ্রায়েত। ফরাসি ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্টের এভাবে জিদানকে অসম্মান ভাল ভাবে মেনে নিতে পারেননি এমবাপে। 


 






ফরাসি তারকা ট্যুইট করেছেন, 'জিদানই ফ্রান্স। আমরা কিংবদন্তিকে অসম্মান করতে পারি না।' এমবাপের বিস্ফোরণের পরে ফরাসি ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই এমবাপের প্রতিবাদের প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে প্রাক্তন মহাতারকার প্রতি যে সম্মান দেখিয়েছেন এমবাপে, তা নিয়ে মুগ্ধ অনেকেই।


বিশ্বকাপের পর দিদিয়ে দেশঁর সঙ্গে চুক্তি বাড়ানো হয়েছে। আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। একসময়ে শোনা গিয়েছিল জিনেদিন জিদান ফ্রান্সের কোচ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। কিন্তু দেশঁর চুক্তি নবীকরণ হওয়ার পর খবর ছড়ায় ব্রাজিলের কোচ হতে পারেন জিদান।                                                                        


আরও পড়ুন: ব্যাকফুটে বিরাটের স্ট্রেট ড্রাইভে ছক্কা এখনও মানতে পারছেন না রউফ