কলকাতা: প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন গত ২৩ জানুয়ারি থেকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ক্রমেই। এরপর তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালে মোহন বাদান সবুজ-মেরুনের হয়ে সই করেছিলেন সুরজিত্‍ । তবে ওই এক বছরই। পরের বছরেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal club) সই করেন তিনি। ময়দানের এমনকী একটা সময়ের দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গার ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। এছাড়া কলকাতার ২ প্রধানে খেলেছেন। সুরজিৎ সেনগুপ্তের অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। সুরজিৎ সেনগুপ্তর প্রয়াণে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


১৯৭৩ সালে প্রথম বড় ক্লাব হিসেবে মোহনবাগানে সই করেন। যদিও এরপরের মরসুমে মোহন বাগানে চলে গিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানকে পাঁচ গোল দিয়েছিল। তার প্রথম গোল ছিল সুরজিতের। ১৯৭৮-৭৯ সালে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক হয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে ফের আসেন মোহনবাগানে। ১৯৭৮-এ সুরজিত্‍-এর অধিনায়কত্বে ডুরান্ড জয় ইস্টবেঙ্গলের। ১৯৭৫-এর শিল্ড ফাইনালে প্রথম গোল সুরজিৎ সেনগুপ্তর। সেই ম্যাচে ৫ গোলে মোহনবাগানকে হারায় ইস্টবেঙ্গল। গল্ফ গ্রিনের উদয় সদনে সন্ধে ৭-৮ পর্যন্ত রাখা থাকবে মরদেহ। সেখানেই শেষশ্রদ্ধা জানানো যাবে সুরজিৎ সেনগুপ্তকে। 





উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক। একবালপুরের নার্সিংহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হন সুভাষ ভৌমিক। এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন কিডনির অসুখে। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে ডায়ালিসিস চলছিল। ময়দানে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান, দুই ক্লাবের হয়ে খেলেছেন সুভাষ ভৌমিক। ১৯৭০-এ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন। খেলেছেন মারডেকা কাপেও। ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং ছাড়াও গোয়ার একাধিক ক্লাবের কোচ ছিলেন। তাঁর প্রয়াণের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার চলে গেলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত।