লখনউ: স্কুল-কলেজে মুসলিম মেয়েদের হিজাব (Karnataka Hijab Row) নিয়ে আপত্তি নিয়ে বিতর্ক চলছেই। তাতে এ বার নিজের মতামত যোগ করলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তাঁর দাবি, কোনও মহিলাই নিজের ইচ্ছেয় হিজাব পরেন না। মুসলিম মেয়েদের উপর জোর করে হিজাবের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।


কর্নাটকে হিজাব বিতর্ক যখন তুঙ্গে, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও (Uttar Pradsesh Assembly Elections 2022) তা ঘুরেফিরে উঠে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা নিয়ে মুখ খোলেন যোগী। তিনি বলেন, "কোনও মহিলা নিজদের ইচ্ছেয় হিজাব পরেন না। তিন তালাকের মতো কুপ্রথাও কি মহিলারা কখনও গ্রহণ করেছিলেন? ওই সমস্ত মেয়ে এবং বোনোদের জিজ্ঞেস করে দেখুন।"


কেন্দ্রীয় সরকার তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ করে মুসলিম মেয়েদের রেহাই দিয়েছেন বলেও দাবি করেন যোগী। তাঁর কথায়, "আমি ওঁদের চোখের জল দেখেছি। নিজেদের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে চোখের জল আটকে রাখতে পারছিলেন না তাঁরা। জৌনপুরের এক মহিলা প্রধানমন্ত্র নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।"


আরও পড়ুন: Uttar Pradesh News: উত্তরপ্রদেশে বিয়েবাড়িতে কুয়োয় পড়ে মৃত্যু ১৩ জনের, ক্ষতিপূরণের ঘোষণা প্রশাসনের


হিজাবের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে যোগীর গেরুয়া বসনের কথা উঠে এসেছে অনেকে। গণতান্ত্রিক, ধর্ম নিরপেক্ষ দেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যোগী যদি বিশেষ ধর্মের প্রতি অনুরাগে গেরুয়া বসন পরতে পারেন, তাহলে মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরে স্কুলে যেতে পারবেন না কেন, প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। কিন্তু যোগীর যুক্তি, "আমি নিজের পছন্দ কখনও আধিকারিকদের উপর চাপিয়ে দিইনি। নিজের দফতরের সকলকে আমি গেরুয়া পরার অনুরোধ জানাতে পারি কি? নিজের দলের লোকজনকেই কি বলতে পারি? পারি না। সকলের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু সব প্রতিষ্ঠানেরও কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে।"


স্কুল-কলেজে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরা নিয়ে তুলকালাম বেঁধেছে কর্নাটকে। বিগত এক মাস দরে সেই নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। তার জেরে বহু মেয়ের স্কুল-কলেজ যাওয়া থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনই পরীক্ষায় পর্যন্ত বসতে না পারার বিষয় সামনে এসেছে। বিষয়টি আদালতে পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।