২০০৬ সালে পাকিস্তানের ফৈসলাবাদের টেস্টে জীবনের প্রথম টেস্টে শতরান করেছিলেন ধোনি। যে কোনও ক্রিকেটারের কাছে জীবনরের প্রথম টেস্ট শতরানের অন্য একটি মাত্রা থাকে। লক্ষ্ণণ জনিয়েছেন, ড্রেসিং রুমে ফেরার পরে আমরা ধোনিকে অভিনন্দন জানালম। কিন্তু ধোনি নিরুত্তর মুখে একটা হাসি ঝুলিয়ে রেখেছেন। লক্ষ্ণণ বলতে থাকেন, ’’ মাহি নীরবতা ভেঙে হাসতে হাসতে বলল, ভাবছি এ বার অবসর নিয়ে নেবো। টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ রান করে ফেলেছি। ব্যাস আর কী চাই?‘‘ লক্ষ্ণণ জানিয়েছেন, ধোনির ওই কথা শুনে তাঁদের খারাপ লেগেছিল। কিন্তু কিছু করার নেই কারণ ধোনি ওই রকমই!
লক্ষ্ণণ জানিয়েছেন, ধোনিকে তিনি কখনও আনন্দে আত্মহারা হতে বা হতাশায় ভেঙে পড়তে দেখেননি। মাঠের মধ্যে যেমন ’ক্যাপ্টেন কুল‘-এর মাথা ঠান্ডা থাকত, মাঠের বাইরেও তার অন্যথা হয়নি। সবসময়ই মজা করতে ভালবাসেন ধোনি। লক্ষ্ণণের কথায়, ’’ ২০০৮ সালে দুটো ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই অনিল কুম্বলে অবসর ঘোষণার জন্য মাহিকে ক্যাপ্টেন করা হয়। নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচের পরে টিমবাসে উঠে বাসচালককে মাহি অনুরোধ করে, অল্প কিছুটা রাস্তা সে বাস চালাতে চায়। চালকও রাজি। অল্প রাস্তা নয়, স্টেডিয়াম থেকে নাগপুরে হোটেল পর্যন্ত বাস চালিয়ে নিয়ে যায় মাহি। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন বাসচালিয়ে সতীর্থদের হোটেলে নিয়ে যাচ্ছেন দেখে তো আমরা অবাক।‘‘
লক্ষ্ণণ জানিয়েছেন, অনেককে অবাক করে এ ভাবেই জীবনকে মাঠের ভিতরে ও বাইরে উপভোগ করতেন ধোনি।