একটি ক্রীড়া চ্যানেলে ক্রিকেট বিষয়ক অনুষ্ঠানে লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘সবার আগে আমাদের বুঝতে হবে, চেন্নাই সুপার কিংসের বিষয়ে ধোনি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ। আইপিএল-এ সিএসকে যে অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়ে উঠতে পেরেছে, তার একটি কারণ হল ধোনির নেতৃত্ব। তাই ও সিএসকে-কে ট্রফি জেতানোর জন্য সবরকমভাবে চেষ্টা করবে।’
‘ধোনি আর যতদিন খেলবে, ও সিএসকে-র অধিনায়ক থাকবে। ও যখন খেলতে নামবে, প্রতি মুহূর্তে দর্শকদের উন্মাদনা দেখা যাবে। দর্শকরা ক্রিকেট মাঠে ধোনির প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করবেন। সিএসকে-র হয়ে শেষ ম্যাচই ধোনির বিদায়ী ম্যাচ হবে। এটা আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। সচিন (তেন্ডুলকর) যেভাবে ওয়াংখেড়েতে শেষ ম্যাচ খেলেছিল, সেভাবেই ধোনিও চিপকে বিদায়ী ম্যাচ খেলবে। ও যেদিনই শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে, সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা সেই ম্যাচে চোখ রাখবেন।’
ভারতীয় ক্রিকেট দলের সফলতম অধিনায়ক ধোনি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট থেকে অবসর নেন। এবারের স্বাধীনতা দিবসের সন্ধেবেলা তিনি সীমিত ওভারের ফর্ম্যাট থেকেও অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তাঁর এই ঘোষণায় ক্রিকেটপ্রেমীরা সবাই হতবাক। অনেকেই মনে করেন, ধোনিকে বিদায়ী ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল বিসিসিআই-এর। লক্ষ্মণ অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি শুধু চেন্নাই সুপার কিংসের প্রতি ধোনির আবেগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।