কলকাতা: ক্রিকেটার হিসাবে তিনি নিজে ছিলেন লড়াকু। হারার আগে হারব না মানসিকতা নিয়ে অনেক ম্যাচে বাংলাকে উদ্ধার করেছেন। চাপের মুখে অবিশ্বাস্য সমস্ত ইনিংস রয়েছে।
সেই লক্ষ্মীরতন শুক্ল (Laxmiratan Shukla) বাংলার কোচ হিসাবে দায়িত্ব নিয়েই পড়লেন ব্যাটারদের নিয়ে। ইদানীং বাউন্সের বিরুদ্ধে বারবার সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছে বাংলার ব্যাটারদের। সেই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর কোচ লক্ষ্মীরতন। বাউন্সের বিরুদ্ধে ব্যাটারদের সড়গড় করে তুলতে বিশেষ অনুশীলনও শুরু করে দিলেন তিনি।
কী সেই অনুশীলন?
বহু পুরনো এক পন্থা। টেনিস বলকে জলে ভিজিয়ে ব্যাটারদের দিকে ছুড়ে দেওয়া। ভেজা বল যেমন আচমকা লাফায়, তেমনই পিচে পড়ে স্কিড করে দ্রুত গতিতে শরীর লক্ষ্য করে ধেয়ে আসে। সাধারণত বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে বাউন্সি পিচের সঙ্গে সড়গড় হওয়ার জন্য এই ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন ব্যাটাররা। এবার সেই প্রস্তুতির নকশা তৈরি করা হয়েছে বঙ্গ ক্রিকেটারদের জন্যও।
বুধবার মাঠে নেমে পড়লেন লক্ষ্মীরতন। শুরু হয়ে গেল বাংলার অনুশীলন। বৃষ্টির জন্য মাঠ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ইডেনের ইন্ডোরে চলল ম্যারাথন প্র্যাক্টিস। ছটি পিচে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে প্রথম দিনের অনুশীলন চলে। হাজির ছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ, অনুষ্টুপ মজুমদার, শাহবাজ আহমেদ, ঈশান পোড়েলরা। মরসুমের প্রথম প্র্যাকটিসে ছিলেন না মনোজ তিওয়ারি, মহম্মদ শামি। দুই রকম বল, প্লাস্টিক এবং ভেজা টেনিস বলে অনুশীলন করতে দেখা যায় বাংলার ক্রিকেটারদের। ইডেনের 'কে' ব্লকের নীচে নেট টাঙিয়ে চলে অনুশীলন।
হুক ও পুল
প্র্যাক্টিসের ফাঁকে লক্ষ্মীরতন বলেন, 'কোচ হিসাবে আমার ভূমিকাটা হয়তো নতুন। কিন্তু এই জায়গাটা নতুন নয়। চেনা জায়গা, চেনা পরিবেশ। দীর্ঘদিন এই দলেই ছিলাম। আপাতত প্রাথমিক বিষয়গুলোতে জোর দিতে চাই। সাধারণ ব্যাটিং ড্রিল দিয়ে শুরু করেছি। ভেজা টেনিস বল এবং প্লাস্টিক বলে হুক এবং পুল শট প্র্যাকটিস করালাম। আজ সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার ট্রেনিং হয়েছে। আগামী দিনে সেটা ছ'ঘণ্টা ছাড়িয়ে যাবে।'
২০২১ সালে রাজনীতি ছাড়ার পর মাঠে ফেরেন লক্ষ্মী। গত মরসুমে তিনি বাংলার অনূর্ধ্ব-২৫ দলের কোচ ছিলেন। এবার বাংলার সিনিয়র দলের দায়িত্ব পেয়েছেন।
জাতীয় রেকর্ড গড়ে কমনওয়েলথ থেকে ভারোত্তোলনে ব্রোঞ্জ জয় লভপ্রীতের