বার্মিংহাম: টোকিও অলিম্পিক্স (Tokyo Olympics) থেকে পদক জিতেছিলেন। বক্সার লভলিনা বরগোহাঁইকে (Lovlina Borgohain) ঘিরে কমনওয়েলথ গেমসেও ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু হতাশ করলেন ভারতীয় বক্সার। বার্মিংহাম থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে তাঁকে।
শেষ আটে হার
কমনওয়েলথ গেমস শুরুর আগে রিংয়ের বাইরে তুমুল লড়াই চালিয়েছিলেন লভলিনা। তাঁর কোচকে কমনওয়েলথে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে তোপ দেগেছিলেন। পরে অনুমতিও মেলে। কিন্তু রিংয়ের লড়াইয়ে মুখ থুবড়ে পড়লেন তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে বাজে ভাবে হারলেন লভলিনা। টোকিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী বক্সারকে ঘিরে ভারত পদকের আশা করেছিল। কিন্তু ৭০ কেজির লাইট মিডল ওয়েটের সেমিফাইনালে উঠতেই পারলেন না লভলিনা।
মহিলাদের ৭০ কেজি বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলসের রসি এক্লেসের বিরুদ্ধে স্প্লিট ডিসিশনে পরাস্ত হলেন লভলিনা। ভারতের তারকা বক্সার হারলেন ২-৩ ব্যবধানে।
হাই জাম্পে ইতিহাস
হাইজাম্পে পদক জিতে কমনওয়েলথের মঞ্চে ইতিহাস গড়েছেন তেজস্বীন শঙ্কর (Tejaswin Shankar)। অথচ একটা সময় তাঁর বার্মিংহাম যাত্রাই আটকে ছিল। শেষ মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করতে হয় আদালতকে। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে কমনওয়েলথে নামার ছাড়পত্র পান ভারতীয় অ্যাথলিট।
রুদ্ধশ্বাস আইনি লড়াই
২২ জুলাই কমনওয়েলথে নামার অনুমতি পান শঙ্কর। এক মাসের নাটকের পর ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা (IOA)-র আবেদন মেনে নেন উদ্যোক্তারা।
দেরিতে আবেদন করায় শঙ্করকে প্রথমে অংশগ্রহণের অনুমতি দেননি উদ্যোক্তারা। আইওএ-ও নীরব ছিল। পরে কমনওয়েলথ গেমস উদ্যোক্তারা ডেলিগেট রেজিস্ট্রেশন মিটিং (ডিআরএম)-এর পর জানিয়ে দেন, শঙ্করের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। তার আগেও ছিল নাটক। শঙ্কর দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। জানান যে, ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন নির্ধারিত যোগ্যতামান পেরলেও তাঁকে কমনওয়েলথের দলে রাখা হয়নি। শেষ পর্যন্ত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে নড়েচড়ে বসেন ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার কর্তারা। ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থা আদালতে জানায় যে, ৪ X ৪০০ মিটার রিলে দলের আরোকিয়া রাজীবের পরিবর্তে শঙ্করকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরপরই সংস্থার তরফে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থাকে শঙ্করের অন্তর্ভুক্তির জন্য অনুরোধ করা হয়। ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা আবার আবেদন জানায় কমনওয়েলথ গেমস উদ্যোক্তাদের। শেষ মুহূর্তে ছাড়পত্র মেলে শঙ্করের।
নজর বক্সিং, লন বলে, ভারতীয় অ্যাথলিটরা কমনওয়েলথ গেমসে আজ কে কখন নামছেন