নয়াদিল্লি: তাঁদের প্রেম, সম্পর্ক, বিয়ে রূপকথার মতো। বরাবর মেরি কমের (Mary Kom) ম্যানেজার হিসাবে এনডোর্সমেন্ট থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজকর্ম নিপুণ হাতে সেরে এসেছেন কে অংলার (K Onlar)।
২০ বছরের সেই দাম্পত্য ভাঙতে চলেছে? বিবাহ বিচ্ছেদের পথে মেরি কম? এই খবরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, স্বামী কে ওনলারের সঙ্গে প্রায় ২০ বছরের দাম্পত্য জীবন ভাঙনের মুখে। ইতিমধ্যেই নাকি আলাদা থাকতে শুরু করেছেন মেরি ও অংলার। কেন বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন তাঁরা? কেউ কেউ বলছেন, নেপথ্যে রয়েছে আর্থিক সমস্যা। এমনকী মেরির জীবনে পরপুরুষের আগমনের কথাও শোনা যাচ্ছে কারও কারও কাছে।
অলিম্পিক্স পদকজয়ী ও ভারতীয় বক্সিংয়ের কিংবদন্তি মেরি কমের ব্যক্তিগত জীবনেও ভাঙনের ছায়া! জানা গিয়েছে, মেরি কমের জীবনেও ঝড়। একাধিক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, মেরি কম এবং তাঁর স্বামী কে ওনলার আলাদা থাকছেন। যদিও এখনও আইনি পথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি বলেই খবর।
নাম প্রকাশ করা যাবে না এই শর্তে একজন বলেছেন, 'মেরি ওদের সন্তানদের সঙ্গে ফরিদাবাদে চলে গিয়েছে। অন্যদিকে অংলার তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দিল্লিতে রয়েছে।' দম্পতির এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নির্বাচনের পর তাঁদের মতবিরোধ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। প্রচারের সময় প্রায় ২-৩ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়। এরপর স্বামী কে অংলারের পরাজিত হওয়ার বিষয়টিতে মেরি অসন্তুষ্ট ছিলেন।
পদ্মভূষণ সম্মান প্রাপক বক্সার মেরি ২০১৬ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন। জানা গিয়েছে যে, অংলার প্রথমদিকে রাজনীতিতে প্রবেশ করতে অনিচ্ছুক ছিলেন। তিনি বলেছেন, 'এটি মেরিরই ইচ্ছে ছিল। তিনি ভোটে লড়তে চাননি। বরং তিনি স্ত্রীকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, সেই সময় মণিপুরের রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থির ছিল। পরাজয়ের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। তাঁদের স্বাভাবিক দাম্পত্য কলহ গুরুতর রূপ নেয়। তারপরই মেরি সন্তানদের সঙ্গে তাঁর ফরিদাবাদের বাড়িতে চলে যান।'
দীর্ঘ ২৫ বছর আগে, ২০০০ সালে দিল্লিতে প্রথম আলাপ মেরি ও অংলারের। শোনা যায়, দুজনের প্রথম সাক্ষাতের আগে মেরির ব্যাগ চুরি গিয়েছিল। সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন অংলার। সেই আলাপ প্রেমে পরিণত হয়। ২০০৫ সালে তাঁদের বিয়ে। ২০০৭ সালে যমজ সন্তানের জন্ম দেন মেরি। ২০১২ সালে অলিম্পিক গেমসে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। ২০১৩ সালে আরও একটি পুত্রসন্তান হয় দম্পতির। একটি দত্তক পুত্রও আছে তাঁদের।