কলকাতা : মেসি উন্মাদনায় যুবভারতীতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা গেল। নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছাড়লেন ফুটবলের কিংবদন্তি। দর্শক আসন থেকে ছোড়া হল জলের বোতল। প্রিয় তারকাকে ভালভাবে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটল ভক্তদের। টিকিট কেটেও ভাল করে দেখতে না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। মাঠের ভিতর পড়ে রয়েছে অসংখ্য জলের বোতল। মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার সময় অনেকে নানা অভিযোগ তুললেন। কী বললেন তাঁরা ? দেখে নিন একনজরে।

Continues below advertisement

অভিযোগ এক : "এরকম ব্যক্তিত্ব আনলে কীভাবে ক্রাউড হ্যান্ডেল করতে হয় তার ন্যূনতম শিক্ষা থাকা দরকার। সেটা আগে গ্রাফ করতে হয় কী কী করণীয়, কী কী করণীয় নয়। সেই শিক্ষায় আমরা অশিক্ষিত । আমাদের প্রশাসন অশিক্ষিত। যারা অর্গানাইজ করেছে তারা অশিক্ষিত। কী করা যাবে ? যা হয়, তারই নেট ফল।"

অভিযোগ ২ : "সম্পূর্ণ Scam। একটা ফুটবলে পা দিলেন না। স্ক্যাম নয়তো কী এটা ?"

Continues below advertisement

অভিযোগ ৩ : "কোনওভাবেই দেখা যায়নি। এতগুলো টাকার টিকিট কেটে কোনওভাবেই দেখা যায়নি। প্রশাসন আনঅর্গানাইজড।"  

অভিযোগ ৪ : "একশোর বেশি লোক ঘিরে রেখেছেন একজন প্লেয়ারকে। এটা কি কোনও অর্গানাইজেশন হল ? রাজনীতিকরা সেল্ফি তুলছেন ওখানে। মেসিকে আনার মানে কী ? এটা তো নির্লজ্জতা ।" 

অভিযোগ ৫ : "যারা ফুটবলের ফ-ও জানেন না, তাঁরা ওখানে গিয়ে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন। এতগুলো টাকা দিয়ে আমরা একঝলক দেখতে পেয়েছি। ১৫ মিনিট ছিলেন।"

অভিযোগ ৬ : "যদি আমাদের জায়ান্ট স্ক্রিনেই মেসিকে দেখতে হয়, আমরা বিশ্বকাপ দেখতে পারি। ১০ হাজার টাকা দিয়ে এ২-তে বসে যদি মেসি ১৫ মিনিটের জন্য আসেন, এর পাশাপাশি তাঁকে ঘিরে রাখছেন মন্ত্রী, সাংবাদিকরা...তাহলে লাভটা কী হল ? পেনাল্টি শ্যুট-আউট কোথায় ? নেই।" 

মেসি মাঠে ঢুকেই গ্যলারির দিকে হাত নাড়েন। মাঠে তখন মেসির নামে জয়োধ্বনি। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। তাল কাটে মেসিকে ঘিরে ভিড় বাড়তে থাকায়। পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের দেখা যায় সেলফি তুলতে ব্যস্ত। এত লোক এল কোথা থেকে ? পুলিশ ও মন্ত্রী-আমলাদের চেনা-পরিচিতরাই ভিড় করেছিলেন। ভারতীয় ফুটবলাররা মেসিকে ছোঁয়ার জন্য, জার্সিতে সই নেওয়ার জন্য এমন করলেন যে, অনেকেই বেশ হতবাক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখেই মাত্র ২২ মিনিটের মাথায় মাঠ থেকে বের করে নেওয়া হল মেসিকে। তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ল গ্যালারি।