কলকাতা: সল্টলেক স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানে তাণ্ডব, বিশৃঙ্খলা, গ্রেফতার মূল উদ্যোক্তা। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। অনুষ্ঠানে অব্যবস্থার অভিযোগে গ্রেফতার শতদ্রু দত্ত।
মেসি উন্মাদনায় যুবভারতীতে চরম বিশৃঙ্খলা। নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছাড়লেন মেসি। এরপরই দর্শক আসন থেকে ছোড়া হল জলের বোতল। প্রিয় তারকাকে ভালভাবে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভের বিস্ফোরণ। টিকিট কেটেও ভাল করে দেখতে না পাওয়ার অভিযোগ।
অভিযোগ ওঠে, 'জায়ান্ট স্ক্রিনেই যদি মেসিকে দেখতে হয়, তাহলে এত টাকা খরচ করে এসেছি কেন?', স্টেডিয়ামের বাইরে বেরিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ দর্শকদের। মন্ত্রী-আয়োজকরাই ছবি তুলছেন, দর্শকরা কী দেখবে? প্রতিক্রিয়া দর্শকদের। এরপরই টিকিটের টাকা ফেরতের এবং অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তর গ্রেফতারির দাবি জানান হয় দর্শকদের তরফে।
এদিকে এই ঘটনার পর একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি বলেন, 'সরকার কমিটি গঠন করেছে, আয়োজকদের লিখিত আকারে জবাব দিতে বলা হয়েছে। যে টিকিট বিক্রি হয়েছিল তার টাকা ফেরত দিতে হবে আয়োজকদের, না হলে আইনি ব্যবস্থা। মেসিকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। প্রধান আয়োজককে আটক করা হয়েছে, কাউকে ছাড়া হবে না'।
অন্যদিকে জাভেদ শামিম বলেন, 'কারা দোষী তদন্তের পরই বলতে পারব, কিছু সময় লাগবে। যে সব মেসি ভক্তি প্রতারিত ও ক্ষুব্ধ তাঁদের কথা মাথায় রাখা হচ্ছে'।
মেসিভক্তদের দাবি, নিরাপত্তারক্ষী, পুলিশ, মন্ত্রী ও VVIP-দের ভিড়ের মাঝে, গ্যালারি থেকে মেসিকে সেভাবে দেখাই যায়নি। হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটেও, স্বপ্নের ফুটবলারকে ভালভাবে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভ ফেটে পড়েন কেউ কেউ। এক অনুরাগীর বক্তব্য ছিল- সাধারণ মানুষ কিচ্ছু দেখতে পায়নি। ১১ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে ২ টো টিকিট কেটেছিলাম আমরা। আমাদের সঙ্গে ফ্রড করা হয়েছে। পুরোপুরি।'
আরেক মেসি ভক্তের দাবি, 'একেক জনের কাছে ১২-১৪ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। আমরা রিফান্ড চাই। গরিব মানুষের টাকা ফেরত দিক। আমি ১১ হাজার ৮০০ টাকার টিকিট কেটেছি। যেদিন প্রথম ওপেন হয়েছে, সেদিনকে কেটেছিলাম। এক ফোঁটা দেখতে পাইনি'।
এই প্রেক্ষাপটে এবিপি আনন্দ-র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে এক্স পোস্টে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে লিখেছেন, 'স্টেডিয়ামে ভাঙচুর-আগুন ধরানো অন্যায়। খেলার মাঠে বিশেষ পতাকা হাতে প্রবেশ করা বড় অন্যায়। পুলিশকে মারধর করা আরও বড় অন্যায়। কিন্তু ফুটবলপ্রেমী বাঙালির আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করা যে সব থেকে বড় অন্যায়। যতদিন না আয়োজকরা যোগ্য হচ্ছেন, মেসিদের নিয়ে টানাটানি করাটা এবার বন্ধ হোক। নয়তো আবার লজ্জায় জিভই কাটতে হবে।'
পুরো পোস্টটি দেখুন-