অ্যানফিল্ড: দুটি করে গোল কোডি গ্যাকপো, ডারউইন নুনেজ ও মহম্মদ সালার। এক গোল রবার্তো ফিরমিনোর। প্রিমিয়ার লিগে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ৭-০ গোলে হারাল লিভারপুল (Man Utd vs Liverpool)!
য়ুর্গেন ক্লপের দলের অভূতপূর্ব সাফল্য সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে। এরিক টেন হ্যাগের দল ১১ ম্য়াচ অপরাজিত থেকে এই ম্যআচে নেমেছিল। সেই সঙ্গে ৬ বছরের ট্রফি খরাও কাটিয়েছে ম্যান ইউ। আর সেই দলই কি না দ্বিতীয়ার্ধে ৬ গোল খেয়ে বসল!
এক আধটা গোল নয়, একেবারে হাফ ডজনেরও বেশি গোল। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করল লিভারপুল। রবিবার অ্যানফিল্ডে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ৭-০ গোলে রেড ডেভিলদের একেবারে খড়কুটোর মতোই উড়িয়ে দিয়েছে য়ুর্গেন ক্লপের দল। বিরতির আগে তাও ১-০ এগিয়ে ছিলেন মহম্মদ সালারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে গোলের বন্যা বইয়ে দেয় লিভারপুল। বিরতির পরেই হয় ৬ গোল।
লিভারপুল গড়ে ফেলে নতুন রেকর্ড। ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে এই জয় লিভারপুলের সবচেয়ে বড় জয়ের নজির। এর আগে ১৮৯৫ সালে দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে তারা ৭-১ জয় পেয়েছিল। কিন্তু এদিন লিভারপুল কোনও গোল হজম করেনি।
এক সপ্তাহ আগেই লিগ কাপের শিরোপা জিতেছিল ম্যান ইউ। ২০১৭ সালের পর এটি ছিল তাদের প্রথম কোনও শিরোপা। কিন্তু এদিন লিভারপুলের বিরুদ্ধে ইউনাইটেডকে মাঠে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। ম্যাচের ৪৩ মিনিট পর্যন্ত রেড ডেভিলরা কিন্তু লিভারপুলের চোখে চোখ রেখেই খেলেছে। এগিয়েও যেতে পারত তারা। কাসেমিরো লিভারপুলের জালে বলও জড়িয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। আর ইউনাইটেডের গোল বাতিল হওয়ার পরপরই গ্যাকপোর ১-০ এগিয়ে দেন লিভারপুলকে।
৪৭ মিনিটের মাথায় ২-০ করেন নুনেজ। এর ঠিক মিনিট তিনেক পরেই নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে ৩-০ করেন গ্যাকপো। এরপর ৬৬ মিনিটে লিভারপুলের হয়ে চার নম্বর গোলটি করেন সালা। ৭৫ মিনিটে ফের গোল করেন নুনেজ। ৮৩ মিনিটে ৬-০ করেন সালা। ৮৮ মিনিটে ব্রাজিলীয় ফিরমিনো ৭-০ করেন।
টেস্টে ভারতের প্রথম সাত ব্যাটার রান পাচ্ছেন না, হতাশ কার্তিক