কলকাতা: ২২ গজে ২ জনই প্রাক্তন। ২ জনেই ব্যাটার। ২ জনেই ছক্কা হাঁকানোয় ওস্তাদ। একজন বাংলার মহারাজা। আর একজন বঢোদরার পাঠান। একজন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও একজন ইউসুফ পাঠান। প্রথমজন সক্রিয় রাজনীতিতে এখনও আসেননি। দ্বিতীয় জন এসে গেলেন সক্রিয় রাজনীতিতে। তাও আবার সৌরভের বাংলাতেই। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বরহরমুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। ক্রিকেটের মাঠের একসময়ের দুই সতীর্থ। ইউসুফের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার শাসক দলের টিকিটে সড়াই করার প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, ''ক্রিকেটাররা রাজনীতিতে আসতেই পারে। তাঁরা সবসময় ভালো কাজ করেন। কীর্তি আজাদ দীর্ঘ সময় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এক্ষেত্রে তাঁদের কাছে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ থাকে। ইউসুফ পাঠান দীর্ঘ সময় কলকাতার জন্য খেলেছেন। তিনি এবার বহরমপুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন। ওখানে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়বে ইউসুফ। এটা কিন্তু অনেকটা ব্রেট লি-র বিরুদ্ধে লড়াই ইউসুফের।''
বহরমপুর দীর্ঘ সময়ে ধরে অধীর চৌধুরীর গড়। সেখানে কংগ্রেস নেতাকে কেউ হারাতে পারেননি। এই পরিস্থিতিত তৃণমূলের হয়ে রাজনীতির আঙিনায় আনকোরা ইউসুফ আদৌ কতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবেন, তা কিন্তু সময়ই বলবে। তবে সৌরভের বার্তা যদি ইউসুফের কানে পৌঁছায়, তবে এটা নিশ্চিত যে ইউসুফও বুঝবেন রাজনীতির ময়দানে যে কতটা শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে তাঁকে।
কেকেআরের জার্সিতে এর আগে খেলেছেন দীর্ঘ সময়ে ইউসুফ।