গুয়াহাটি: টোকিও অলিম্পিক্সে বক্সিংয়ে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী লভলিনা বরগোহাঁইকে ট্রেনি ডেপুটি পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ করা হল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঘোষণা করেছেন, লভলিনাকে পুলিশ বিভাগের বেতন ছাড়াও বক্সিং অনুশীলনের খরচ বাবদ প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। গুয়াহাটিতে লভলিনার নামে একটি রাস্তার নামকরণ করা হবে। পাতিয়ালায় গিয়ে অনুশীলন করতে যদি লভলিনার সমস্যা হয়, তাহলে অসম সরকার গুয়াহাটিতেই আন্তর্জাতিক মানের কোচ নিয়ে আসার কথাও চিন্তা করবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অসম সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে লভলিনা বলেছেন, ‘আমি রাজ্যের জন্য আরও অনেক সম্মান এনে দেওয়ার চেষ্টা করব। ডেপুটি পুলিশ সুপার হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ধন্যবাদ জানাই। তবে আমার প্রধান লক্ষ্য থাকবে খেলা। আমি কঠোর পরিশ্রম করতে চাই এবং প্যারিস অলিম্পিক্স ২০২৪ থেকে আমাদের দেশের জন্য আরও পদক নিয়ে আসতে চাই।’
টোকিও অলিম্পিক্সের কোয়ার্টার ফাইনালে লভলিনা তাইওয়ানের বক্সার নিয়েন চিন চেনকে ৬৯-৭৫ কেজি ক্যাটাগরিতে ৪-১ ব্যবধানে হারান। এর সঙ্গেই অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করে ফেলেন তিনি। উঠে যান সেমিফাইনালে। সঙ্গে সঙ্গে গড়ে ফেলেন ইতিহাস। অসমের প্রথম মহিলা বক্সার হিসেবে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেই পদক নিশ্চিত করেন লভলিনা।
এরপর সেমি-ফাইনালে তিনি হেরে যান তুরস্কের প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে। ৬৪-৬৯ কেজি মহিলাদের বিভাগে বিশ্বের এক নম্বর বুসেনাজ সুরমেনলির বিরুদ্ধে হার মানতে হয় লভলিনাকে। বেশ কয়েকবার ভাল পাঞ্চ করলেও অভিজ্ঞতাতেই মূলত বাজিমাত করেন তরুস্কের বক্সার। দ্বিতীয় রাউন্ডে একটা সময় তুরস্কের বক্সারের থেকেও ভাল পারফর্ম চোখে পড়ছিল লভলিনার। কিন্তু পুরো ম্যাচ জুড়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে জয় হাসিল করে নেন বুসেনাজ সুরমেনলি।
ব্রোঞ্জ জেতার পরেই লভলিনা বলেছিলেন, প্যারিসে সোনা জেতাই তাঁর লক্ষ্য। এখনও সেই লক্ষ্যের কথাই বলছেন অসমের ২৪ বছর বয়সি এই বক্সার।