লখনউ: বিধানসভা ভোটের আগে যোগী রাজ্যে মন্ত্রী-বিধায়কদের ইস্তফার হিড়িক। স্বামীপ্রসাদ মৌর্য, দারা সিংহের পর উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের আরও এক মন্ত্রীর ইস্তফা। এবার যোগী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন ধরম সিংহ সাইনি (Dharam Singh Saini Resigns)। এর আগে এদিনও  উত্তরপ্রদেশের আরও ২ বিজেপি বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন।  দল ছেড়েছেন বিজেপি বিধায়ক বিনয় শাক্য, মুকেশ বর্মা।


জানা গেছে, ইতিমধ্যেই অখিলেশের সঙ্গে দেখা করলেন আর এক বিজেপি বিধায়ক রাম ফেরন পাণ্ড্য। ফলে ইকৌনার বিজেপির বিধায়ককে নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।


ইস্তফা দিয়ে হুঙ্কার ছেড়েছেন মুকেশ বর্মা। তিনি বলেছেন, সঙ্গে ১০০ বিধায়ক, রোজ ইঞ্জেকশন দেব।  সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ভোটের আগে ৩ মন্ত্রী-সহ ৮ বিজেপি বিধায়ক ইস্তফা দিলেন।


মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরেই সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করেন ধরম সিংহ সাইনি। সাইনির সঙ্গে ছবি শেয়ার করে অখিলেশ  ট্যুইটে লেখেন, সমাজবাদী পার্টিতে স্বাগত।


সাইনির সঙ্গে সাক্ষাতের পর ‘মেলা হবে’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে ট্যুইট করেছেন অখিলেশ। তিনি লিখেছেন, সামাজিক ন্যায়ের আর এক যোদ্ধা ড. ধরম সিংহ সাইনি আসায় সবাই মিলিয়ে, মিলন ঘটানোয় আমাদের ইতিবাচক ও প্রগতিশীল রাজনীতি আরও বেশি উৎসাহ পাবে এবং উদ্দীপনার সঞ্চার ঘটবে।


রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে ধরম সিংহ সাইনি লিখেছেন, মন্ত্রী হিসেবে তিনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সরকার দফতরের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিও দলিত, অনগ্রসর, শিক্ষিত কর্মসংস্থানহীন তরুণ এবং ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের উপেক্ষার অভিযোগ এনেছেন যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, যে আশা নিয়ে ওই জনগোষ্ঠী বিজেপি সরকার তৈরি করেছিল, সেই আশা পূরণ হয়নি। তাদের প্রতি ধারাবাহিক উপেক্ষার প্রতিবাদেই মন্ত্রিসভা থেকে তিনি ইস্তফা দিলেন বলে জানিয়েছেন সাইনি। 


এবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ৪০৩ আসনে সাত দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। এই পর্বে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ১১ জেলার ৫৮ আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় দফার ভোট ২০ ফেব্রুয়ারি, চতুর্থ দফার ভোচ ২৩ ফেব্রুয়ারি, পঞ্চম দফায় ভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি, ষষ্ঠ দফার ভোট ৩ মার্চ। সপ্তম দফার ভোট ৭ মার্চ।