নয়াদিল্লি: শুধুমাত্র জীবনযাত্রার সঙ্গেই নয়, ব্রাজিলীয়দের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গেই মিশে রয়েছে ফুটবল। সেখানে এবার ফুচবলের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মহাত্মা গাঁধী। যদিও এই মহাত্মা অহিংসার পূজারী তথা ভারতের জাতির জনক নন, বরং সেদেশের এক যুবক ফুটবলার (Brazilian Footballer)। পুরো নাম মহাত্মা গাঁধী হিবেরপিও মাত্তোস পিরেজ (Mahatma Gandhi Heberpio Mattos Pires)। আর এই নামের দৌলতেই এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে তিনি। (Mahatma Gandhi Namesake)
৩১ বছর বয়সি পিরেজ মিডফিল্ডার। ব্রাজিলের ত্রিনিদাদ ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। ২০১১ সালে অ্যাটলেটিকো ক্লাব গোয়েনিজের হাত ধরে ফুটবলকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। নামের দৌলতেই এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন তিনি। তবে ব্রাজিলে শুধুমাত্র নামের দৌলতে চর্চায় উঠে আসা ফুটবলারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। (Viral News)
এর আগে এমন একাধিক উদাহরণ উঠে এসেছে ব্রাজিল থেকে। সেখানে একজন ফুটবলারের নাম ছিল জন লেনন সিলভা সান্তোজ। ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড 'বিটলস'-এর শিল্পী জন লেননের নামেই তাঁর নামকরণ করেন বাড়ির লোকজন। আবার পিকাচু নামেও একজন ফুটবলার রয়েছেন ব্রাজিলে। বেন-হুর মোরেইরা, মারলন ব্রান্ডো, এমনকি মসকিটো নামের ফুটবলারেরও হদিশ মেলে ব্রাজিলে।
তাতেই নয়া সংযোজন মহাত্মা গাঁধী হিবেরপিও মাত্তোস পিরেজ। ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরেও মহাত্মা গাঁধী অত্যন্ত পরিচিত নাম। বিশ্বের তাবড় দেশের রাষ্ট্রনেতাদের অনুপ্রেরণা তিনি। আজও ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর নাম উঠে আসে বার বার। ভারতের জাতির জনককে সামনে রেখেই পিরেজের বাবা-মা তাঁর এমন নামকরণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে মহাত্মা গাঁধীর পুরো নাম মোহনদাস করমচাঁদ গাঁধী। 'মহাত্মা' উপমা তাঁকে দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বর্তমানে সেই উপমাই বিশ্বে প্রচলিত। তাই পিরেজের নামের আদ্যাক্ষরেও জায়গা করে নিয়েছে ওই শব্দটিই।
অত্যাচারী ইংরেজ শাসকের হাত থেকে ভারতকে স্বাধীনতা অর্জনের পথে চালিত করেছিলেন মহাত্মা গাঁধী। অহিংস আন্দোলন, সত্যাগ্রহের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক শাসকের ঘুম কেড়ে নেন তিনি। কেউ শ্রদ্ধাবনত হয়ে তাঁকে 'মহাত্মা' বলেন, কেউ বলেন 'বাপু', কেউ আবার 'জাতির জনক'।
এর বাইরে ফুটবলের সঙ্গেও যোগ ছিল মহাত্মা গাঁধীর। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকাকালীন, ১৮৯৩ থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত প্যাসিভ রেসিস্টার্স ফুটবল ক্লাবের জন্য তিনটি দলও গঠন করেছিলেন তিনি। জোহানেসবার্গ, প্রেটোরিয়া এবং ডারবানে সেই সময় ফুটবল খেলত ওই তিনটি দল। ১৮৯৬ সালে ট্রান্সভাল ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যেও অন্যতম ছিলেন মহাত্মা গাঁধী।