নয়াদিল্লি: নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে 'মিথ্যে' বলার অভিযোগ। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে নোটিস ধরাল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে 'অসত্য' দাবি করেছেন প্রিয়ঙ্কা। যাচাই না করেই ওই মন্তব্য করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার মধ্যে প্রিয়ঙ্কাকে এ নিয়ে জবাব দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। (Priyanka Gandhi Vadra)
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে এই মুহূর্তে সরগরম রাজনীতি। সেই আবহেই সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের সানবেরে কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে যান প্রিয়ঙ্কা। সেখানে রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেড সংস্থাটি (BHEL) মোদি নিজের শিল্পপতি বন্ধুর হাতে তুলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর সেই মন্তব্যের জেরেই নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। (Election Commission of India)
গত ১০ নভেম্বর প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা হরদীপ সিংহ পুরি অনিল বালুনি এবং ওম পাঠক। রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ ঘটানোর প্রিয়ঙ্কা মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন দাবি করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। তার পরই প্রিয়ঙ্কাকে নোটিস ধরাল নির্বাচন কমিশন। নোটিসে বলা হয়, 'মধ্যপ্রদেশের সানবের বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে গিয়ে আপনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ভিত্তিহীন এবং অসত্য দাবি করেছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, আপনি মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করেছেন'।
কেন্দ্রের মোদি সরকার BHEL-এর বেসরকারিকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও, একাধিক বার এই অভিযোগ শোনা গিয়েছে। জানা যায়, নিজেদের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। ২০২১ সালে SBI Capital Markets LTD সেই নিয়ে রিপোর্টও জমা দেয় বলে রিপোর্ট বের হয় সংবাদমাধ্যমে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার বার বার সেই সম্ভাবনার কথা খারিজ করে এসেছে।
আম আদমি পার্টিকেও নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। হরদীপের অভিযোগ ছিল, নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে দেশের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জয়ী হয়ে আসা প্রশাসককে নিয়ে কুরুচিকর ভিডিও আপলোড করেছে AAP, তাঁকে অপমান করেছে। তার জেরে AAP-কেও নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, কারণ জানাতে বলা হয়েছে। জবাব না দিলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন।