সৌমিত্র রায়, কলকাতা: তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি একজন ক্রীড়াপ্রেমীও। বিশেষ করে ফুটবলের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভালবাসার কথা প্রায় সবারই জানা। বারবার কলকাতার ২ প্রধানের বিভিন্ন সমস্যায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার মহমেডান ক্লাবের তাঁবু উদ্বোধনে এসে সেই ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মহমেডানের গ্যালারি সংস্কারের জন্য ৬০ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করেন মমতা।


মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ''ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান আইএসএল খেলছে। মহমেডান কেন পারবে না? সমর্থকদের টাকাতেও আইএসএল খেলা যায়। এত সমর্থক, ১ টাকা করে চাঁদা দিলেই হয়ে যাবে।'' যুব ফুটবলারদের অনলাইন ক্লাস করার জন্য যুব কল্যাণ দফতরকে একটি করে কম্পিউটার দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্যালারিতে থাকা মহমেডান সমর্থকদের উদ্দেশে ফুটবল ছুড়ে দেন তিনি। এদিন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় ও আসলাম পারভেজকে শান-ই-মহমেডান পুরস্কার ভূষিত করা হয়।


নিজের ফেসবুকে মহমেডান ক্লাবে আজকের কর্মসূচির কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ''বাংলার প্রাণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফুটবল। এই খেলা আমাদের সবার কাছে আবেগের ও অকৃত্রিম ভালবাসার। আজ সেইরকম একটি প্রাচীন দল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নবনির্মিত তাঁবুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত এবং গর্বিত। এই বিশাল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। পাশাপাশি, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের গ্যালারি এবং ফুটবল স্টেডিয়ামের মানোন্নয়নের জন্য ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করলাম।''


উল্লেখ্য, গতকালই প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তি ফুটবলার মহম্মদ হাবিব। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহমেডান - কলকাতার তিন প্রধানেই সাফল্যের সঙ্গে খেলেছেন হাবিব। ১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে ভারতের যে ফুটবল দল ব্রোঞ্জ জিতেছিল, সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।


হাবিবের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করেছেন তিনি। লিখেছেন, 'হায়দরাবাদে আজ কিংবদন্তি ভারতীয় ফুটবলার মহম্মদ হাবিবের প্রয়াণের খবর শুনে আমি মর্মাহত। ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত কলকাতা ময়দানে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন। ফুটবলপ্রেমীদের নয়ণের মণি ছিলেন। দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার ছিলেন। ২০১৮ সালে আমরা ওঁকে রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণ দিতে পেরেছিলাম। ওঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও অগণিত ভক্তদের সমবেদনা জানাই।'


মঙ্গলবার হায়দরাবাদের বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।