ম্যাঞ্চেস্টার: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (Champions League) নতুন রেকর্ড গড়লেন আর্লিং হালান্ড (Erling Haaland)। আর বি লাইপজেগ-এর বিরুদ্ধে একাই করলেন ৫ গোল। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ডারউইন নুনেজ, লিওনেল মেসি এক ম্যাচে ৪টি করে গোল করেছিলেন। ২টি করে গোল করার নজির রয়েছে করিম বেঞ্জেমা, সন হিউং মিন ও কেই হাভার্ৎজের। সব রেকর্ড ভেঙে দিলেন হালান্ড।
পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ৩০ গোল করার কৃতিত্বও অর্জন করলেন হালান্ড। ২৫ ম্যাচে ৩০ গোল করলেন তিনি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম হিসাবে ৩০ গোল হল হালান্ডের। মাত্র ২২ বছর ২৩৬ দিন বয়সে ৩০ গোল করলেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে তৃতীয় ফুটবলার হিসাবে এক ম্যাচে ৫ গোল করার নজির গড়লেন নরওয়ের তারকা। টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচে লাইপজেগ-কে ৭-০ গোলে চূর্ণ করল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ইউরোপের কোনও দলের বিরুদ্ধে এটা ম্যান সিটির সবচেয়ে বড় জয়। সব মিলিয়ে ৮-১ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
প্রথম লেগে লাইপজেগের ঘরের মাঠে ১-১ ড্র হয়েছিল। ঘরের মাঠে এ বার যে ৭ গোলে লাইপজেগকে হারাবে গুয়ার্দিওলার দল তা হয়তো ম্যান সিটির সমর্থকরাও ভাবতে পারেননি। এই নিয়ে টানা ৬ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে পৌঁছল ম্যান সিটি।
লাইপজেগের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ম্যান সিটি। ম্যাচের ২২ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করেন হালান্ড। তার ঠিক ২ মিনিট পর হালান্ডের ও ম্যান সিটির দ্বিতীয় গোল। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে ফেলেন হালান্ড। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ম্যান সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিছিয়ে পড়া লাইপজেগেকে যেন আরও চেপে ধরে গুয়ার্দিওলার ছাত্ররা। ৪৯ মিনিটে ম্যান সিটির হয়ে চতুর্থ গোল করেন ইলকে গুন্দোগান। ৫৩ মিনিটে সিটিকে আরও এগিয়ে দেন হালান্ড। ৫৭ মিনিটে নিজের পঞ্চম গোল করেন নরওয়ের তারকা ফুটবলার। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে ম্যান সিটির হয়ে সপ্তম গোল করেন কেভিন দি ব্রুইন।