১৯৭৮ সালে আর্জেন্তিনোস জুনিয়রের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর এই বাড়িতে থাকার সুযোগ পান মারাদোনা। ক্লাব থেকেই তাঁকে বাড়িটি দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত এই বাড়িতে ছিলেন মারাদোনা। তাঁর পেশাদার ফুটবলার জীবনের শুরু এই বাড়ি থেকে। ফলে বাড়িটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। সেই কারণেই বাড়িটির মালিকানা পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন পেরেজ। কিন্তু মারাদোনারা চলে যাওয়ার পর যে মহিলা বাড়িটিতে ছিলেন, তিনি বাড়িটি ছাড়তে চাইছিলেন না। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আট বছর আগে এক লক্ষ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে মারাদোনার ছোটবেলার বাড়িটি কিনে নিতে সক্ষম হন পেরেজ। তারপর থেকেই তিনি মারাদোনাদের ব্যবহৃত আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেন। সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাড়িটিকে আগের মতোই সাজিয়ে তুলেছেন পেরেজ।
মারাদোনার বড় হয়ে ওঠার দিনগুলির কথা মনে পড়লে এখনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পেরেজ। তিনি অতীতের কথা স্মরণ করে বলেছেন, ‘এই বাড়িতে থাকার সময়টাই দিয়েগোর জীবনের সেরা সময়। আর্জেন্তিনোস জুনিয়রে আমরা দিয়েগোকে বড় করে তুলেছি। ও এই ক্লাব এবং প্রতিবেশীদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেটা বলে বোঝানো যাবে না। দিয়েগোর জন্যই সারা বিশ্ব আমাদের নাম জানে।’
মারাদোনা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা ওই বাড়িটির কোন ঘরে কীভাবে থাকতেন, সেটা এখনও মনে রেখেছেন পেরেজ। সেভাবেই তিনি সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন। এখন বাড়িটিতে ঢুকলেই চোখে পড়ে মারাদোনার ছোটবেলার বিভিন্ন ছবি, নথি এবং সরঞ্জাম। আর্জেন্তিনোস জুনিয়রের সঙ্গে মারাদোনার প্রথম চুক্তির কপিও আছে এই সংগ্রহশালায়। ফলে আর্জেন্তিনায় আসা ফুটবলপ্রেমীদের অবশ্য গন্তব্য হয়ে গিয়েছে এই সংগ্রহশালা।