দুবাই: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন অনেক দিন আগেই। কিন্তু এবার আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার স্ক্যানারে মার্লন স্যামুয়েলস। আমিরশাহিতে টি-১০ লিগ খেলছিলেন স্যামুয়েলস। কিন্তু সেখানে আইসিসি কোড অফ কন্ডাক্ট মানেননি স্যামুয়েলস। এমনই অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
দেশের জার্সিতে ২০১২ ও ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্য়ারিবিয়ানদের জয়ের পেছনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন স্যামুয়েলস। তবে ক্রিকেট কেরিয়ারে বারবারই বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এবার ফের একবার বিতর্ক তাঁকে ঘিরে। সূত্রের খবর, টি-১০ লিগ খেলার সময় চার দফা কোড অফ কন্ডাক্ট না মানার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। ঠিক কোন কোন কারণে শাস্তি পেতে পারেন স্যামুয়েলস। তা একবার দেখে নেওয়া যাক।
• আর্টিকেল ২.৪.২ – টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোনও ব্যক্তির থেকে টাকা বা কোনও প্রকার উপহার পেলে আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারকে না জানানো।
• আর্টিকেল ২.৪.৬ - দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারকে তদন্তে সাহায্য না করা।
• আর্টিকেল ২.৪.৭ – তদন্তে সহায়ক হতে পারে এমন নথি বা কিছুর সঠিক ব্যাখা দিতে না পারা বা প্রমাণ না দিতে পারা।
• আর্টিকেল ২.৪.৩ – কোনও ব্যক্তির থেকে টাকা বা কোনও প্রকার উপহার পেলে আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারকে না জানানো।
স্যামুয়েলসের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে আইসিসি। তার জন্য তাঁকে ১৪ দিন সময়ও দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে শেষবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন স্যামুয়েলস। এরপর ২০১৯ সালে টি-১০ লিগ খেলেন আমিরশাহিতে। হয়ত এই টুর্নামেন্টেই তিনি নিয়ম লঙ্ঘন করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৭১টি টেস্ট, ২০৭টি ওয়ান ডে ও ৬৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন স্যামুয়েলস। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ১১ হাজার ১৩৪ রান করেছেন। একই সঙ্গে ১৫২টি উইকেট নিয়েছেন। উল্লেখ্য, বিতর্ক এর আগেও তাড়া করে বেরিয়েছে স্যামুয়েলসকে। এর আগে ২০০৭ সালেও ২ বছরের জন্য নির্বাসিত হতে হয়েছিল ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডারকে।