কলকাতা: দেশের ক্রিকেটমহলে বলা হয়, পাকিস্তান ম্যাচের পারফরম্যান্স থেকে প্রতিফলিত হয় একজন ক্রিকেটারের চারিত্রিক দৃঢ়তা।


জীবনের প্রথম পাকিস্তান ম্যাচে বাংলার পেসার রবি কুমার (Ravi Kumar) ভারতকে প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিলেন। নাটকীয় শেষ ওভারে বাঁহাতি পেসার রবি বল হাতে দুরন্ত লড়াই করলেও হেরে যায় ভারত। তবু সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে আরও সাফল্য চান রবি।


অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে (U19 Asia Cup) সদ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের কাছে হারলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছিল টিম ইন্ডিয়া। শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮ রান। অধিনায়ক যশ ধুল বল তুলে দিয়েছিলেন বাংলার পেসারের হাতে। রুদ্ধশ্বাস সেই ম্যাচের অভিজ্ঞতা এখনও টাটকা রবির। দুবাই থেকে এবিপি লাইভকে বললেন, 'পাকিস্তান ম্যাচটা হাড্ডাহাড্ডি হয়েছিল। শেষ ওভারে আমি যখন বল করতে যাই, ৮ রান হাতে ছিল। শুরুতেই একটা উইকেট পেয়েছিলাম। ম্যাচটা শেষ বল পর্যন্ত গড়িয়েছিল। এক সময় মনে হয়েছিল ম্যাচটা জিতে যাব। হেরে গেলেও অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। ভবিষ্যতে চাপের পরিস্থিতিতে এই শিক্ষা কাজে লাগবে। চাপ সামলানোর অভিজ্ঞতা হয়ে গেল।'


এশিয়া কাপে ৪ উইকেট নিয়েছেন রবি। কাকে ফিরিয়ে সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়েছিল? রবি বলছেন, 'সব উইকেটই গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বিশেষ উইকেট নিয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছি তা নয়। আমরা দলগতভাবে খেলেছি। সফল হয়েছি। সাফল্যের কৃতিত্ব দলের সকলের।' যোগ করছেন, 'হার-জিত ম্যাচের অঙ্গ। হারের পর দলের মনোভাব কেমন থাকে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। দলের অন্দরমহল ভীষণ ভাল। সকলে ভীষণ ইতিবাচক। যেটা আমাদের সাফল্যের নেপথ্যে অন্যতম কারণ।'


আরও পড়ুন: ওমিক্রনের প্রাথমিক রিপোর্ট নেগেটিভ, বাড়ি ফিরলেন সৌরভ


শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ভি ভি এস লক্ষ্মণ, শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন অনেকেই। রবি বলছেন, 'অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দলীয় সংহতিই আমাদের মূল অস্ত্র। আমরা সবরকম পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকতে পারছি।'


সামনেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এশিয়া কাপ খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সেখান থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে রওনা হয়ে যাবেন ক্রিকেটারেরা। যে কারণে দুবাইতেই রয়ে গিয়েছে পুরো দল। রবি বলছেন, 'বিশ্বকাপ বড় টুর্নামেন্ট। কিন্তু একই খেলা হবে। খেলাটা তো পাল্টে যাবে না। বিশ্বকাপে আমাদের গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকা, আয়ার্ল্যান্ড ও উগান্ডা আছে। কোনও দলকেই হাল্কাভাবে নিচ্ছি না।' যোগ করছেন, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচ পেসারদের সাহায্য করে। তবে আমি প্রাথমিক ব্যাপারগুলোয় জোর দিচ্ছি। আমার শক্তি অনুযায়ী খেলছি।'


বাংলার পেসার ভরসা দিচ্ছে কোচ হৃষিকেষ কানিতকরের দলকে।