জোহানেসবার্গ: খেলায় হার-জিত রয়েছে। তা বলে ম্যাচ হারলে একেবারে খুনের হুমকি!


খেলার দুনিয়ায় অবশ্য এটা নতুন নয়। বিশ্বকাপের ম্যাচে আত্মঘাতী গোল করার জন্য খুন হতে হয়েছিল কলম্বিয়ার আন্দ্রে এস্কোবারকে। ছুরিকাহত হয়েছিলেন মনিকা সেলেস। এবার ম্যাচ হারায় খুনের হুমকি পাওয়ার কথা জানালেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার ফাফ ডুপ্লেসি। শুধু তিনি একাই নন, খুনের হুমকি পেয়েছিলেন নাকি তাঁর স্ত্রীও। এরকমই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা।


ভারতে ক্রিকেটারদের কার্যত ভগবানের আসনে বসিয়ে রাখেন ভক্তরা। ভালো খেললে যেমন তাঁদের ভগবানরূপে কার্যত পুজো করেন, তেমনই খারাপ পারফরম্যান্স করলে তাদের কঠোর সমালোচনা হয়। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের গ্রুপ থেকে বিদায়ের পর ক্রিকেটারদের বাড়িতে কালি লেপে দেওয়া হয়েছিল। এবার প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার কথা ফাঁস করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক ডুপ্লেসি। চাঞ্চল্যকর দাবি করে তিনি জানালেন, ২০১১ সালের বিশ্বকাপে বিপর্যয়ের পর তিনি এবং তাঁর স্ত্রী প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন।





একটা সময় বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেট দল হিসাবে উঠে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেললেও এখনও পর্যন্ত একবারও বিশ্বকাপ জেতা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। সেমিফাইনাল বা ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে স্নায়ুর চাপ সামলে পারফর্ম করতে পারেন না দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারেরা। যে কারণে বাইশ গজে ‘চোকার্স’ অপবাদ রয়েছে প্রোটিয়াদের এবং সেই তকমা তারা এখনও পর্যন্ত ঘুচিয়ে উঠতে পারেনি।



ডুপ্লেসি জানিয়েছেন, ২০১১ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার পর তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২১১ রান করেছিল নিউজ়িল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭২ রানেই শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয় ডুপ্লেসিদের। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্রমাগত ব্যক্তিগত আক্রমণ শুনতে হয় বলে জানিয়েছেন ডুপ্লেসি। হারের সমস্ত দায় ডুপ্লেসির কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করলেন ডুপ্লেসি।