আমেদাবাদ : গুজরাতের একাংশে কার্যত তাণ্ডব চালাল তওতে। ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবে রাজ্যে মৃত ৭। ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলবর্তী এলাকা। বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘর, রাস্তাঘাটের ক্ষতি হয়েছে। গাছ উপড়ে পড়েছে, ভেঙে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।
তবে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, তওতে এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হওয়ার সময় ধীরে ধীরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
তওতে-র প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রায় ৩৫টি তালুকায় এক ইঞ্চির বেশি জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমেদাবাদ শহরের অনেক অংশে হাঁটুসমান জল। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রাজ্যে ১৬ হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, ৪০ হাজারের বেশি গাছ এবং ১ হাজারের বেশি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে।
সমুদ্রে খারাপ অবস্থার সময় ভেরাভাল পোতাশ্রয় এলাকায় জেলেদের একটি নৌকা আটকে পড়ে। সেখান থেকে আট মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। এছাড়া খারাপ আবহাওয়া চলাকালীন প্রতিবেশী রাজ্য মহারাষ্ট্রের সতপতি উপকূলে একটি ভ্রাম্যমাণ জাহাজ আটকে পড়ে। সেখান থেকে আট ক্রু মেম্বারকে উদ্ধার করে দমনের সিজে বিমানঘাঁটিতে থাকা দুটি হেলিকপ্টার।
এদিকে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টি পর্যন্ত আমেদাবাদ শহরে ৭৫.৬৯ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এমনটা জানিয়েছেন পুর কমিশনার মুকেশ কুমার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তওতের অবশিষ্টাংশ উত্তর-পূর্ব দিক হয়ে রাজস্থান এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করবে যথাক্রমে ১৯ ও ২০ মে। গুজরাতের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব(রেভিনিউ) পঙ্কজ কুমার জানান, গতরাতে দেড়টা নাগাদ গুজরাতে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় তওতে। আম্রেলি, গির সোমনাথ, জুনাগড়, পোরবন্দর, রাজকোট, ভাবনগর এবং বোতাড়ার মতো জেলাগুলি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
রাজ্যে ১৫৯টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়া বিভিন্ন কারণে ১৯৬টি রাস্তা ব্লক হয়ে রয়েছে। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৪৫টি রাস্তা গাড়ি চলাচলের জন্য পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২ হাজার ৪৩৭টি গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিল। এর মধ্যে ৪৮৪টিতে ইতিমধ্যেই পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে।